আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার পৃথক বাণী
- আপলোড টাইম : ১০:০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
- / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী নানা উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি-স্থাপনা ও বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদগুলোয় দেশের কল্যাণ-সমৃদ্ধি ও সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী ও নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা এবং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসগুলোয়ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, সশস্ত্র বাহিনীকে জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরী জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। খালেদা জিয়া বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে।