ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে সব ধরণের প্রচার-প্রচারণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন : শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে বন্ধ হচ্ছে নির্বাচনী সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা। তবে শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হওয়ায় শেষবারের মতো ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে লড়াই হচ্ছে দ্বিমুখী। চুয়াডাঙ্গাজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নৌকা না ধানের শীষ। কে হবেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নতুন অভিভাবক। বাড়ি বাড়ি, মুখে মুখে তো আলোচনা আছেই, চায়ের আড্ডায় প্রার্থীর দোষ-গুণ নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে, বিধি অনুযায়ী কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবে না। ওই সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবে না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবে না কেউ। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে, শেষ সময়ে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। পছন্দের প্রার্থী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে মাঝে-মধ্যে কড়া আলোচনা-সমালোচনাও করছেন। আবার প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠক, চা-চক্র ও কুশলাদি বিনিময়সহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও নানা পোস্ট করে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। প্রার্থীরা চুয়াডাঙ্গাকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে সকল নাগরিক-সুবিধা নিশ্চিতসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এবারে চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন (নৌকা) ও বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি (ধানের শীষ)। আরও রয়েছেন- ইসলামী আন্দোলনের তুষার ইমরান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু (মোবাইল ফোন), স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার), স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডের বিপরীতে ৬৪ জন কাউন্সিলর ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৩ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে রির্টানিং অফিসার তারেক আহমেমদ বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৭৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮০৪ জন ও নারী ৩৪ হাজার ৯৭০ জন। ভোট কেন্দ্র ৩৩টি। এবার প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে সব ধরণের প্রচার-প্রচারণা

আপলোড টাইম : ১০:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন : শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে বন্ধ হচ্ছে নির্বাচনী সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা। তবে শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হওয়ায় শেষবারের মতো ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে লড়াই হচ্ছে দ্বিমুখী। চুয়াডাঙ্গাজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নৌকা না ধানের শীষ। কে হবেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নতুন অভিভাবক। বাড়ি বাড়ি, মুখে মুখে তো আলোচনা আছেই, চায়ের আড্ডায় প্রার্থীর দোষ-গুণ নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে, বিধি অনুযায়ী কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবে না। ওই সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবে না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবে না কেউ। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে, শেষ সময়ে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। পছন্দের প্রার্থী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে মাঝে-মধ্যে কড়া আলোচনা-সমালোচনাও করছেন। আবার প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠক, চা-চক্র ও কুশলাদি বিনিময়সহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও নানা পোস্ট করে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। প্রার্থীরা চুয়াডাঙ্গাকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে সকল নাগরিক-সুবিধা নিশ্চিতসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এবারে চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন (নৌকা) ও বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি (ধানের শীষ)। আরও রয়েছেন- ইসলামী আন্দোলনের তুষার ইমরান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু (মোবাইল ফোন), স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার), স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডের বিপরীতে ৬৪ জন কাউন্সিলর ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৩ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে রির্টানিং অফিসার তারেক আহমেমদ বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৭৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮০৪ জন ও নারী ৩৪ হাজার ৯৭০ জন। ভোট কেন্দ্র ৩৩টি। এবার প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।