ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: শুকরিয়া মহিমাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে। যিনি আমাদের দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামতরাজি। প্রধান নেয়ামত হিসেবে রাসূল সা. কে সৃষ্টি করে ধন্য করেছেন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে। রাসূল সা. সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,‘আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না। আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি। হে মাহবুব আপনি বলুন আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির কারণে বান্দারা যেন খুশি উদযাপন করে। এটা তাদের সকল সঞ্চিত ইবাদত হতে উত্তম (আল হাদিস)। সকল সৃষ্টির মূল আমাদের সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ সা. এর পৃথিবীতে আগমনের দিন, ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। ঈদে মিলাদুন্নবী আরবি তিনটি শব্দের সম্মিলিত রূপ। ঈদ, মিলাদ ও নবী এই তিনটি শব্দ নিয়ে গঠিত। আভিধানিক অর্থে ঈদ অর্থ খুশি, মিলাদ অর্থ জন্ম, নবী অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আনন্দকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়। অন্য কথায়, ঈদে মিলাদুন্নবী হলো, রাহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এর পবিত্র ‘বেলাদত শরিফ’ (জন্মদিন) উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) এর জন্মকাল সম্পর্কে জানা যায়, হজরত আবু কাতাদা আল আনসারি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুয়ত পেয়েছি।’ (মুসলিম)। এর দ্বারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। এ মুবারক মাসের ১২ তারিখ উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম দিন। কারণ, এ মুবারক দিনটি যদি আল্লাহ পাকের হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের অন্তর্ভুক্ত না হতো তাহলে শবে ক্বদর, শবে বরাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, জুমা ইত্যাদি ফযীলতপূর্ণ কোন দিন-রাতেরই আগমন ঘটতো না। শুধু তাই নয়, কুরআন শরীফ নাযিল হতো না, দ্বীন ইসলাম আসতো না এবং কোন মমিন-মুসলমানের অস্তিত্বও থাকতো না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: শুকরিয়া মহিমাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে। যিনি আমাদের দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামতরাজি। প্রধান নেয়ামত হিসেবে রাসূল সা. কে সৃষ্টি করে ধন্য করেছেন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে। রাসূল সা. সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,‘আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না। আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি। হে মাহবুব আপনি বলুন আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির কারণে বান্দারা যেন খুশি উদযাপন করে। এটা তাদের সকল সঞ্চিত ইবাদত হতে উত্তম (আল হাদিস)। সকল সৃষ্টির মূল আমাদের সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ সা. এর পৃথিবীতে আগমনের দিন, ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। ঈদে মিলাদুন্নবী আরবি তিনটি শব্দের সম্মিলিত রূপ। ঈদ, মিলাদ ও নবী এই তিনটি শব্দ নিয়ে গঠিত। আভিধানিক অর্থে ঈদ অর্থ খুশি, মিলাদ অর্থ জন্ম, নবী অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আনন্দকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়। অন্য কথায়, ঈদে মিলাদুন্নবী হলো, রাহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এর পবিত্র ‘বেলাদত শরিফ’ (জন্মদিন) উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) এর জন্মকাল সম্পর্কে জানা যায়, হজরত আবু কাতাদা আল আনসারি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুয়ত পেয়েছি।’ (মুসলিম)। এর দ্বারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। এ মুবারক মাসের ১২ তারিখ উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম দিন। কারণ, এ মুবারক দিনটি যদি আল্লাহ পাকের হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের অন্তর্ভুক্ত না হতো তাহলে শবে ক্বদর, শবে বরাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, জুমা ইত্যাদি ফযীলতপূর্ণ কোন দিন-রাতেরই আগমন ঘটতো না। শুধু তাই নয়, কুরআন শরীফ নাযিল হতো না, দ্বীন ইসলাম আসতো না এবং কোন মমিন-মুসলমানের অস্তিত্বও থাকতো না।