ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ নির্ধারণ হবে গোয়ালঘরের শিশু কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুরে গোয়াল ঘরে জন্ম নেওয়া সেই শিশুটি কার কাছে মানুষ হবে, তা নির্ধারণ হবে আজ। পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আবেদনকারী চারজনের মধ্যে যেকোনো একজনের কাছে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মেহেরপুর জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে রহমান, জেলা প্রভেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আলমপুর গ্রামের আলেকের বাড়ির পাশে একটি গোয়াল ঘরে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরে সন্তানটি আলমপুর গ্রামের প্রবাসী শফিকুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুনের কাছে রাখার পর বিষয়টি জানাজানি হলে শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাবরিনার তত্ত্বাবধানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। শিশুটির ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান বাচ্চাটিকে সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষে তাকে মানুষ করার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেন। সে প্রেক্ষিতে মোট ৪ ব্যক্তি শিশুটিকে নিজ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। যারা আবেদন করেছেন তারা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, আমঝুপি গ্রামের খায়রুল ইসলাম টুটুল, আলমপুর গ্রামের জাহিদুজ্জামান ও আবুল হাসান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ নির্ধারণ হবে গোয়ালঘরের শিশু কার

আপলোড টাইম : ১০:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুরে গোয়াল ঘরে জন্ম নেওয়া সেই শিশুটি কার কাছে মানুষ হবে, তা নির্ধারণ হবে আজ। পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আবেদনকারী চারজনের মধ্যে যেকোনো একজনের কাছে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মেহেরপুর জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে রহমান, জেলা প্রভেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আলমপুর গ্রামের আলেকের বাড়ির পাশে একটি গোয়াল ঘরে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরে সন্তানটি আলমপুর গ্রামের প্রবাসী শফিকুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুনের কাছে রাখার পর বিষয়টি জানাজানি হলে শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাবরিনার তত্ত্বাবধানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। শিশুটির ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান বাচ্চাটিকে সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষে তাকে মানুষ করার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেন। সে প্রেক্ষিতে মোট ৪ ব্যক্তি শিশুটিকে নিজ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। যারা আবেদন করেছেন তারা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, আমঝুপি গ্রামের খায়রুল ইসলাম টুটুল, আলমপুর গ্রামের জাহিদুজ্জামান ও আবুল হাসান।