ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কারো কাছে নত হবো না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মে ২০১৮
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে

দর্শনায় পুলিশের রেঞ্জ কনফারেন্স শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি দিদার আহম্মেদ
আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মেদ বলেছেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে চরমপন্থীদের সক্রিয়তা এক সময় ছিল; এখন আর নেই। আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করবো। ইতিপূর্বে এটি (চুয়াডাঙ্গা) সর্বহারা দূষিত এলাকা থাকলেও এখন আর নেই। তার পরবর্তীতে জঙ্গি নিমূর্লে জনগণের সহযোগিতায় বিভিন্ন অভিযানে এখন শান্তিপূর্ণ রয়েছে গোটা এলাকা।’
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার, তার সব কিছুই করা হবে। কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বলেই না, যারা বাঁধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করতেও আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা কারো কাছে নত হবো না।’
গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ আয়োজিত খুলনা রেঞ্জের দশ জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে অপরাধ পর্যালোচনা ও আরএএল সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি বলেন, ‘সততা ও নিরাপত্তা অঙ্গা-অঙ্গি ভাবে জড়িত। বর্তমান সময়ে পুলিশ যে মোটা বেতন পায় আর তার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ২৮ বছরের চাকরী জীবনে এখন জনগণের সাথে আতাত এত বেশি যা আগে ছিল না। সকলকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করি। এতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না আর আমরা কাজকে ভয় পায় না।’
পুলিশের সততা ও দায়িত্বকর্তব্য নিয়ে রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, ‘গোষ্ঠীগত ভাবে একজন পুলিশ যায় করুক তার দায় সব পুলিশের উপরে বর্তায়। এরমধ্যে যারা ভালো কাজ করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। আর যারা খারাপ কাজে জড়ায় তাদের জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।’


মাদকের প্রবেশ দ্বার দর্শনা এলাকায় মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ এলাকার ৪২০ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবী সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ ও জনগণের পরোক্ষ তৎপরতায় এ অঞ্চলে মাদকের ব্যাপকতা অনেকাংশে কমে এসেছে।’
সীমান্ত শহর দর্শনায় একটি থানা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বলেছেন, ‘দর্শনাতে একটি থানার জন্য কাগজপত্র পাঠিয়েছি; যা সরকারের চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আশাকরি খুব শিঘ্রই এটা থানা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই থানার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা যত বৃদ্ধি পাবে ততই আইন শৃঙ্খলা উন্নত হবে, কমে আসবে মাদকের আগ্রাসন।’
সোমবার সকাল ১০ টায় দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানী ট্রেনিং কমপ্লেক্স ভবনে এই সভা শুরু হয়। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মেদের সভাপতিত্বে শুরুতে আরএএল নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এসআই (নিরস্ত্র) হতে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), এসআই (স্বশস্ত্র) হতে পুলিশ পরিদর্শক (স্বশস্ত্র), পুলিশ সার্জেন্ট/টিএসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহণ), এএসআই (স্বশস্ত্র) হতে এসআই (স্বশস্ত্র) এবং এটিএসআই হতে টিএসআই পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের তালিকা নিশ্চিত করা হয়। পরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিসহ নিজ নিজ জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় অংশ নেন খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (অতিঃ ডিআইজি) শেখ ওমর ফারুক, অতিরিক্ত ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন এন্ড ক্রাইম) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন এন্ড প্রসিকিউশন) আবু হেনা খন্দকার অহিদুল করিম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা, যশোর জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম (বার), চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান, বিপিএম, পিপিএম-সেবা (বার), বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, খুলনা আরআরএফ কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মোছা. তাসলিমা খাতুন, মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সাতক্ষিরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কারো কাছে নত হবো না

আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মে ২০১৮

দর্শনায় পুলিশের রেঞ্জ কনফারেন্স শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি দিদার আহম্মেদ
আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মেদ বলেছেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে চরমপন্থীদের সক্রিয়তা এক সময় ছিল; এখন আর নেই। আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করবো। ইতিপূর্বে এটি (চুয়াডাঙ্গা) সর্বহারা দূষিত এলাকা থাকলেও এখন আর নেই। তার পরবর্তীতে জঙ্গি নিমূর্লে জনগণের সহযোগিতায় বিভিন্ন অভিযানে এখন শান্তিপূর্ণ রয়েছে গোটা এলাকা।’
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার, তার সব কিছুই করা হবে। কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বলেই না, যারা বাঁধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করতেও আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা কারো কাছে নত হবো না।’
গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ আয়োজিত খুলনা রেঞ্জের দশ জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে অপরাধ পর্যালোচনা ও আরএএল সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি বলেন, ‘সততা ও নিরাপত্তা অঙ্গা-অঙ্গি ভাবে জড়িত। বর্তমান সময়ে পুলিশ যে মোটা বেতন পায় আর তার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ২৮ বছরের চাকরী জীবনে এখন জনগণের সাথে আতাত এত বেশি যা আগে ছিল না। সকলকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করি। এতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না আর আমরা কাজকে ভয় পায় না।’
পুলিশের সততা ও দায়িত্বকর্তব্য নিয়ে রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, ‘গোষ্ঠীগত ভাবে একজন পুলিশ যায় করুক তার দায় সব পুলিশের উপরে বর্তায়। এরমধ্যে যারা ভালো কাজ করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। আর যারা খারাপ কাজে জড়ায় তাদের জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।’


মাদকের প্রবেশ দ্বার দর্শনা এলাকায় মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ এলাকার ৪২০ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবী সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ ও জনগণের পরোক্ষ তৎপরতায় এ অঞ্চলে মাদকের ব্যাপকতা অনেকাংশে কমে এসেছে।’
সীমান্ত শহর দর্শনায় একটি থানা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বলেছেন, ‘দর্শনাতে একটি থানার জন্য কাগজপত্র পাঠিয়েছি; যা সরকারের চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আশাকরি খুব শিঘ্রই এটা থানা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই থানার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা যত বৃদ্ধি পাবে ততই আইন শৃঙ্খলা উন্নত হবে, কমে আসবে মাদকের আগ্রাসন।’
সোমবার সকাল ১০ টায় দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানী ট্রেনিং কমপ্লেক্স ভবনে এই সভা শুরু হয়। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মেদের সভাপতিত্বে শুরুতে আরএএল নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এসআই (নিরস্ত্র) হতে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), এসআই (স্বশস্ত্র) হতে পুলিশ পরিদর্শক (স্বশস্ত্র), পুলিশ সার্জেন্ট/টিএসআই হতে পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহণ), এএসআই (স্বশস্ত্র) হতে এসআই (স্বশস্ত্র) এবং এটিএসআই হতে টিএসআই পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের তালিকা নিশ্চিত করা হয়। পরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিসহ নিজ নিজ জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় অংশ নেন খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (অতিঃ ডিআইজি) শেখ ওমর ফারুক, অতিরিক্ত ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন এন্ড ক্রাইম) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন এন্ড প্রসিকিউশন) আবু হেনা খন্দকার অহিদুল করিম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা, যশোর জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম (বার), চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান, বিপিএম, পিপিএম-সেবা (বার), বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, খুলনা আরআরএফ কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মোছা. তাসলিমা খাতুন, মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সাতক্ষিরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।