ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগামী জানুয়ারীতে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম ও প্রিন্স এর ভাবনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪০২ বার পড়া হয়েছে

fxgআওয়াল হোসেন: আগামী জানুয়ারীতে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রমিক নেতাদের নানা ভাবনা। তাদের এ ভবনা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি ১৯৯৭-৯৮ সালে একবার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। এরপর ২০০৬-০৭ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০২ সালের সাশ্রয় নীতিমালা থেকে বেরিয়ে আসি। ঐ সময় অনেক শ্রমিকের সার্থ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঐ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছি। বিনা পয়সায় নিস্বার্থে দলীয় কর্মীদের চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ সততার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। এছাড়া দলীয় কর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদের অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। আমার সময় ২০০৬ সালের জাতীয় মুজুরী কমিশন বাস্তবায়নে পরে তাদের এরিয়া বিল একই সাথে পরিশোধ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোন অডিট আপত্তি হয় নাই। এদিকে ২০০৯ সালের ৪৮১ জন শ্রমিক কর্মচারীর মুজুরী কমিশন বাস্তবায়ন হওয়ার পরে ৪কিস্তিতে এরিয়া বিল পরিশোধ করাে নির্দেশ থাকার পরও এ বিলে অডিট আপত্তি হয়ে আছে। এক এক জনের বিশেষ করে শ্রমিক মহনের ১ লাখ ৭০ হাজার, লোকমান হোসেনের ১৫ হাজার ৯৭৩, আশরাফ আলীর ১৬ হাজার ২০০শত, নারাণ চন্দ দাসের ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩৪ টাকা, হেলপার চুনার ১লাখ ৯হাজার ও আবু বকর সিদ্দিক এর ১লাখ ২ হাজার ৪৭৩ টাকা করে সর্বমোট ৪৮১ জন শ্রমিকের ২ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৬২৪ শত টাকা অডিট আপত্তি হয়ে আছে। যা আজ পর্যন্ত কোন সুরাহ হয়নি। এ টাকা ৪ কিস্তিতে পরিশোধ করা হলেও অহেতুক অডিট আপত্তি দিয়ে গেছে। এদিকে ২০০৬ সালে আমরা সকল অডিট আপত্তির নিশ্বঃপত্তি করেছি। যার কোন অডিট আপত্তি হয়নি। আপনি এবার পাশ করলে শ্রমিদের জন্য কি করবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সভাপতি পদে পাশ করলে অবশ্যই শ্রমিদের হারিয়ে যাওয়া ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবো। এবং সাশ্রয় নীতিমালার নামে শ্রমিক শোষন থেকে মুক্ত করবো। প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়নের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবো। আর সেই দিন আমার রাজনীতি করা সার্থক হবে। কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয়ের করণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় শ্রমিকরা ভাল বলতে পারে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স: মনিরুল ইসলাম প্রিন্স এর নিকট সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে কেরু চিনিকলের শ্রমিকদের জন্য আগামীতে করবেন বিষয় স্বাক্ষাতকার নিতে গেলে তিনি বলেন, আমি তোমার সাথে পরে বসবো। এছাড়া এসব স্বাক্ষাতার দিলে শ্রমিদের মধ্যে মিশ্র-প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়, এ ভয়ে তিনি স্বাক্ষাতকার না দিয়ে সাংবাদিক মনকষ্ট নিয়ে চলে আসে। কেরুজ শ্রমিক অন্যান্য নেতারা স্বালীল, দৃঢ়তা ও সাহনিকতার সাথে স্বাক্ষাতকার দিয়েছে। তবে তিনি স্বাক্ষাতকার দিতে ভয় পাচ্ছেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুজতে সময়ের সমীকরণ করণ আগামীতে শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তর খুজে বের করবে। (আগামীতে তৈয়ব আলী স্বাক্ষাত থাকবে)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আগামী জানুয়ারীতে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম ও প্রিন্স এর ভাবনা

আপলোড টাইম : ১২:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬

fxgআওয়াল হোসেন: আগামী জানুয়ারীতে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রমিক নেতাদের নানা ভাবনা। তাদের এ ভবনা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি ১৯৯৭-৯৮ সালে একবার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। এরপর ২০০৬-০৭ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০২ সালের সাশ্রয় নীতিমালা থেকে বেরিয়ে আসি। ঐ সময় অনেক শ্রমিকের সার্থ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঐ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছি। বিনা পয়সায় নিস্বার্থে দলীয় কর্মীদের চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ সততার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। এছাড়া দলীয় কর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদের অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। আমার সময় ২০০৬ সালের জাতীয় মুজুরী কমিশন বাস্তবায়নে পরে তাদের এরিয়া বিল একই সাথে পরিশোধ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোন অডিট আপত্তি হয় নাই। এদিকে ২০০৯ সালের ৪৮১ জন শ্রমিক কর্মচারীর মুজুরী কমিশন বাস্তবায়ন হওয়ার পরে ৪কিস্তিতে এরিয়া বিল পরিশোধ করাে নির্দেশ থাকার পরও এ বিলে অডিট আপত্তি হয়ে আছে। এক এক জনের বিশেষ করে শ্রমিক মহনের ১ লাখ ৭০ হাজার, লোকমান হোসেনের ১৫ হাজার ৯৭৩, আশরাফ আলীর ১৬ হাজার ২০০শত, নারাণ চন্দ দাসের ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩৪ টাকা, হেলপার চুনার ১লাখ ৯হাজার ও আবু বকর সিদ্দিক এর ১লাখ ২ হাজার ৪৭৩ টাকা করে সর্বমোট ৪৮১ জন শ্রমিকের ২ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৬২৪ শত টাকা অডিট আপত্তি হয়ে আছে। যা আজ পর্যন্ত কোন সুরাহ হয়নি। এ টাকা ৪ কিস্তিতে পরিশোধ করা হলেও অহেতুক অডিট আপত্তি দিয়ে গেছে। এদিকে ২০০৬ সালে আমরা সকল অডিট আপত্তির নিশ্বঃপত্তি করেছি। যার কোন অডিট আপত্তি হয়নি। আপনি এবার পাশ করলে শ্রমিদের জন্য কি করবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সভাপতি পদে পাশ করলে অবশ্যই শ্রমিদের হারিয়ে যাওয়া ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবো। এবং সাশ্রয় নীতিমালার নামে শ্রমিক শোষন থেকে মুক্ত করবো। প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়নের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবো। আর সেই দিন আমার রাজনীতি করা সার্থক হবে। কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয়ের করণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় শ্রমিকরা ভাল বলতে পারে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স: মনিরুল ইসলাম প্রিন্স এর নিকট সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে কেরু চিনিকলের শ্রমিকদের জন্য আগামীতে করবেন বিষয় স্বাক্ষাতকার নিতে গেলে তিনি বলেন, আমি তোমার সাথে পরে বসবো। এছাড়া এসব স্বাক্ষাতার দিলে শ্রমিদের মধ্যে মিশ্র-প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়, এ ভয়ে তিনি স্বাক্ষাতকার না দিয়ে সাংবাদিক মনকষ্ট নিয়ে চলে আসে। কেরুজ শ্রমিক অন্যান্য নেতারা স্বালীল, দৃঢ়তা ও সাহনিকতার সাথে স্বাক্ষাতকার দিয়েছে। তবে তিনি স্বাক্ষাতকার দিতে ভয় পাচ্ছেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুজতে সময়ের সমীকরণ করণ আগামীতে শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তর খুজে বের করবে। (আগামীতে তৈয়ব আলী স্বাক্ষাত থাকবে)।