ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আইসোলেশন থেকে পালাল ভারত ফেরত যাত্রী!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ভারত ফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালিয়েছেন। তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বসে খাবার খেলেও দুপুরের খাবার দেওয়ার সময় থেকে তাঁকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের খাবার পরিবেশনকারী বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই আইসোলেশনে থাকা ওই ব্যক্তি খোঁজা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা ওই ব্যক্তি তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্যই হয়তো পালিয়েছন। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশন থেকে পালানো ওই ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নন্দনি গ্রামের মৃত সিজার আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৫) বলেও নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

                জানা যায়, আইসোলেশন থেকে পলাতক আবুল কালাম আজাদ চলতি মাসের ৯ তারিখ দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দর্শনা চেকপোস্টের হেল্থ স্কিনিং সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হওয়ায় তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও সরাসরি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি পালিয়ে যান। তবে গতকালই ওই ব্যক্তির নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হলে সেই রিপার্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে পালানো ওই ব্যক্তি হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই ছুটি পেতেন, কিন্তু তিনি তার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে জানতে পেরেছিলাম হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত এক রোগী পালিয়ে গেছেন। এরপর থেকেই ওই রোগীকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত রাত নয়টার পরে জানতে পারি সকালে তিনি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। তাঁর নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসায় কাউকে কিছু না বলেই তিনি হাপসাতাল থেকে চলে যান। তিনি হয়তো এখান থেকে সরাসরি নিজ বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। তবে তার সঙ্গে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আইসোলেশন থেকে পালাল ভারত ফেরত যাত্রী!

আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

ভারত ফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালিয়েছেন। তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বসে খাবার খেলেও দুপুরের খাবার দেওয়ার সময় থেকে তাঁকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের খাবার পরিবেশনকারী বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই আইসোলেশনে থাকা ওই ব্যক্তি খোঁজা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা ওই ব্যক্তি তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্যই হয়তো পালিয়েছন। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশন থেকে পালানো ওই ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নন্দনি গ্রামের মৃত সিজার আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৫) বলেও নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

                জানা যায়, আইসোলেশন থেকে পলাতক আবুল কালাম আজাদ চলতি মাসের ৯ তারিখ দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দর্শনা চেকপোস্টের হেল্থ স্কিনিং সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হওয়ায় তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও সরাসরি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি পালিয়ে যান। তবে গতকালই ওই ব্যক্তির নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হলে সেই রিপার্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে পালানো ওই ব্যক্তি হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই ছুটি পেতেন, কিন্তু তিনি তার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে জানতে পেরেছিলাম হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত এক রোগী পালিয়ে গেছেন। এরপর থেকেই ওই রোগীকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত রাত নয়টার পরে জানতে পারি সকালে তিনি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। তাঁর নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসায় কাউকে কিছু না বলেই তিনি হাপসাতাল থেকে চলে যান। তিনি হয়তো এখান থেকে সরাসরি নিজ বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। তবে তার সঙ্গে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’