ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আইপিইউ’র শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৪৪টি দেশের ভোট প্রদান : অন্য দেশে হস্তক্ষেপ বন্ধে খসড়া প্রস্তাব : জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে চূড়ান্ত আকারে গৃহীত হবে আজ : আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের অঙ্গিকার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধসহ ১৮ দফা খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আইপিইউ’র শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে। গতকার মঙ্গলবার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে ৪৪-১০ ভোটে এই খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বেলজিয়াম ভোট দানে বিরত থাকে। বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৪৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। অপরদিকে জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেইন, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ড বিপক্ষে ভোট দেয়। এখন প্রস্তাবটি আইপিইউ’র নির্বাহী কমিটিতে যাবে। ১৭ সদস্যের ওই কমিটির সভাপতি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়া ছয় জন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১০ জন সদস্য রয়েছেন এতে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে প্রস্তাবটি। বুধবার প্রস্তাবটি জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে চূড়ান্ত আকারে গৃহীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার গৃহীত ১৮ দফা এই প্রস্তাবের মূল আলোচনায় ছিল-একটি দেশের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধের বিষয়টি। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে অঙ্গীকার করে পক্ষের দেশগুলো। বিশেষ কোনো কারণে প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী তা করার ওপর মত দেয় তারা। এর আগে গত দুই দিন বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরা এই খসড়া প্রস্তাবের ওপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। অনেক দেশের প্রতিনিধিই অন্য দেশের দোষারোপ করেন। ভোট দানে বিরত বেজলিয়ামের প্রতিনিধি বলেন, খসড়ায় মানাধিকারসহ অনেক বিষয়ে ‘ব্যালান্স’ করা হয়েছে। “আমার মনে হয় না এটা এমন একটা প্রস্তাবনা হয়েছে, যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। ফিনল্যান্ড প্রস্তাবনার ৫ ও ৬ দফা সংশোধনের প্রস্তাব করে। বাংলাদেশের পক্ষে মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, “আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খোঁচাই না। এই সম্মেলনে আমরা বলেতে চাই, সব শেষে গণতন্ত্রকে সমর্থন দিতে হবে।” জার্মানির প্রতিনিধি বলেন, “বিশ্বে হুমকির মুখে থাকা গণতন্ত্র এই রেজুলেশনের মাধ্যমে আরও ধ্বংসের দিকে যাবে।” প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়ে চীন বলেছে, বিশ্বের অনেক দেশেরই অন্য দেশের হস্তক্ষেপের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। “আমরা মনে করি, এই প্রস্তাব গণতন্ত্রের একটি ফসল।” বেশিরভাগ দেশের খসড়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, সব দেশেরই অধিকার রয়েছে। কারও অধিকার নেই আরেক দেশের জাতীয় পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করার। কোনো দেশ এ ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। আমরা মনে করি, এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি হলে জাতিসংঘের মাধ্যমে সেটা হতে হবে।” রাশিয়া বলেছে, তারা রাজনীতিতে নতুন করে কোনো বাধা তৈরিকারী দেশকে চায় না। বিভক্তের রাজনীতির পরিবর্তে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি বলেন, তাদের কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মুক্ত চিন্তা নিয়ে তারা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে ফিনল্যান্ড বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আইপিইউ’র শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৪৪টি দেশের ভোট প্রদান : অন্য দেশে হস্তক্ষেপ বন্ধে খসড়া প্রস্তাব : জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে চূড়ান্ত আকারে গৃহীত হবে আজ : আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের অঙ্গিকার

আপলোড টাইম : ০৫:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধসহ ১৮ দফা খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আইপিইউ’র শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে। গতকার মঙ্গলবার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটিতে ৪৪-১০ ভোটে এই খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বেলজিয়াম ভোট দানে বিরত থাকে। বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৪৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। অপরদিকে জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেইন, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ড বিপক্ষে ভোট দেয়। এখন প্রস্তাবটি আইপিইউ’র নির্বাহী কমিটিতে যাবে। ১৭ সদস্যের ওই কমিটির সভাপতি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়া ছয় জন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১০ জন সদস্য রয়েছেন এতে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে প্রস্তাবটি। বুধবার প্রস্তাবটি জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে চূড়ান্ত আকারে গৃহীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার গৃহীত ১৮ দফা এই প্রস্তাবের মূল আলোচনায় ছিল-একটি দেশের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধের বিষয়টি। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে অঙ্গীকার করে পক্ষের দেশগুলো। বিশেষ কোনো কারণে প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী তা করার ওপর মত দেয় তারা। এর আগে গত দুই দিন বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরা এই খসড়া প্রস্তাবের ওপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। অনেক দেশের প্রতিনিধিই অন্য দেশের দোষারোপ করেন। ভোট দানে বিরত বেজলিয়ামের প্রতিনিধি বলেন, খসড়ায় মানাধিকারসহ অনেক বিষয়ে ‘ব্যালান্স’ করা হয়েছে। “আমার মনে হয় না এটা এমন একটা প্রস্তাবনা হয়েছে, যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। ফিনল্যান্ড প্রস্তাবনার ৫ ও ৬ দফা সংশোধনের প্রস্তাব করে। বাংলাদেশের পক্ষে মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, “আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খোঁচাই না। এই সম্মেলনে আমরা বলেতে চাই, সব শেষে গণতন্ত্রকে সমর্থন দিতে হবে।” জার্মানির প্রতিনিধি বলেন, “বিশ্বে হুমকির মুখে থাকা গণতন্ত্র এই রেজুলেশনের মাধ্যমে আরও ধ্বংসের দিকে যাবে।” প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়ে চীন বলেছে, বিশ্বের অনেক দেশেরই অন্য দেশের হস্তক্ষেপের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। “আমরা মনে করি, এই প্রস্তাব গণতন্ত্রের একটি ফসল।” বেশিরভাগ দেশের খসড়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, সব দেশেরই অধিকার রয়েছে। কারও অধিকার নেই আরেক দেশের জাতীয় পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করার। কোনো দেশ এ ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। আমরা মনে করি, এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি হলে জাতিসংঘের মাধ্যমে সেটা হতে হবে।” রাশিয়া বলেছে, তারা রাজনীতিতে নতুন করে কোনো বাধা তৈরিকারী দেশকে চায় না। বিভক্তের রাজনীতির পরিবর্তে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি বলেন, তাদের কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মুক্ত চিন্তা নিয়ে তারা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে ফিনল্যান্ড বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে।