ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আইএলওর প্রতিবেদন : দেশে তরুণদের ১০ শতাংশ বেকার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশি তরুণদের বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, যদিও জাতীয় পর্যায়ের বেকারত্বের হার মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তবে কভিড-১৯ মহামারির সময় তরুণদের বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ‘দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ’ বা ‘বিশ্বজুড়ে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রবণতা ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আইএলও এ তথ্য তুলে ধরেছে। গতকাল প্রাপ্ত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্বের তরুণ সমাজ। কিন্তু কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তারা এখনো পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের জন্য শ্রমবাজার আরও কঠিন হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে এই বয়সী তরুণ বেকারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে। তবে ২০২১ সালের চেয়ে তা কিছুটা কম (৭ কোটি ৫০ লাখ)। তবে ২০১৯ সালে প্রাক-মহামারি সময়ের চেয়ে তরুণ বেকারের সংখ্যা এখনো ৬০ লাখ বেশি। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার দাঁড়াতে পারে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশে। এটি বৈশ্বিক হারের সমান। তবে এই অঞ্চলের সব দেশের অবস্থা এক নয়। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে যেমন উন্নত দেশগুলো এগিয়ে আছে, তেমনি তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে যেমন তফাত আছে, তেমনই উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সঙ্গেও তাদের পার্থক্য আছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশগুলো তরুণদের কর্মসংস্থানে প্রাক-মহামারি পর্যায়ে ফেরত যাবে। তবে অন্যান্য দেশের তরুণদের বেকারত্বের হার প্রাক-মহামারি সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি থাকবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ নেই, এমন তরুণের সংখ্যা বেড়েছে। তবে ২০২১ সালের তথ্য এখনো আইএলওর হাতে নেই। ২০২০ সালে এই হার ছিল ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ১৫ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। তবে মহামারির ক্ষত শিগগিরই সারছে না, আর তাতে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা আইএলওর। অন্যদিকে পুরুষের তুলনায় নারীদের অবস্থা খারাপ। ২০২২ সালে যেখানে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারীর বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থান থাকবে বলে পূর্বাভাস করা হচ্ছে,  সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার দাঁড়াতে পারে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ তরুণীদের তুলনায় তরুণদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা দেড় গুণ বেশি। নারী-পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আইএলওর প্রতিবেদন : দেশে তরুণদের ১০ শতাংশ বেকার

আপলোড টাইম : ০৮:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশি তরুণদের বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, যদিও জাতীয় পর্যায়ের বেকারত্বের হার মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তবে কভিড-১৯ মহামারির সময় তরুণদের বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ‘দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ’ বা ‘বিশ্বজুড়ে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রবণতা ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আইএলও এ তথ্য তুলে ধরেছে। গতকাল প্রাপ্ত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্বের তরুণ সমাজ। কিন্তু কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তারা এখনো পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের জন্য শ্রমবাজার আরও কঠিন হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে এই বয়সী তরুণ বেকারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে। তবে ২০২১ সালের চেয়ে তা কিছুটা কম (৭ কোটি ৫০ লাখ)। তবে ২০১৯ সালে প্রাক-মহামারি সময়ের চেয়ে তরুণ বেকারের সংখ্যা এখনো ৬০ লাখ বেশি। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার দাঁড়াতে পারে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশে। এটি বৈশ্বিক হারের সমান। তবে এই অঞ্চলের সব দেশের অবস্থা এক নয়। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে যেমন উন্নত দেশগুলো এগিয়ে আছে, তেমনি তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে যেমন তফাত আছে, তেমনই উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সঙ্গেও তাদের পার্থক্য আছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশগুলো তরুণদের কর্মসংস্থানে প্রাক-মহামারি পর্যায়ে ফেরত যাবে। তবে অন্যান্য দেশের তরুণদের বেকারত্বের হার প্রাক-মহামারি সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি থাকবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ নেই, এমন তরুণের সংখ্যা বেড়েছে। তবে ২০২১ সালের তথ্য এখনো আইএলওর হাতে নেই। ২০২০ সালে এই হার ছিল ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ১৫ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। তবে মহামারির ক্ষত শিগগিরই সারছে না, আর তাতে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা আইএলওর। অন্যদিকে পুরুষের তুলনায় নারীদের অবস্থা খারাপ। ২০২২ সালে যেখানে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারীর বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থান থাকবে বলে পূর্বাভাস করা হচ্ছে,  সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার দাঁড়াতে পারে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ তরুণীদের তুলনায় তরুণদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা দেড় গুণ বেশি। নারী-পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।