ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অলসতা ইসলামে অপছন্দনীয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কাজ না করে অলস সময় কাটানো ইসলামে অপছন্দনীয়। কর্মঠ মানুষ সমাজে যেমন সমাদৃত হয়, তেমনি আল্লাহর কাছেও প্রিয়। যে নিজ হাতে রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করে, সেই হাতকে বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ। অলস মস্তিষ্ককে বলা হয়েছে শয়তানের আখড়া। মানুষ যখন নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকে, তখনই তার মন পাপ কাজের দিকে ধাবিত হয়। নিছক পার্থিব কাজে যেমন অলসতা নিন্দনীয়, তেমনি দীনের কোনো কাজে পিছিয়ে থাকাও কোরান-হাদিসের চোখে নিন্দনীয়। অনেক সময় ভালো কাজ করতে চাইলে শয়তান এসে বাদ সাধে। শয়তানের ধোঁকায় অনেক সময় মানুষ অলসতায় নিমগ্ন হয়ে পড়ে। কোনো কাজ করার সময় যখন অলসতা দেখা দেয়, তখন সেই সময়টি মানুষের জন্য পরীক্ষার। মন চাইবে অলসতার কাছে হার মেনে নিতে, কিন্তু সেটা মানা যাবে না। সাহসিকতা ও কর্মঠ মানসিকতার দ্বারা অলসতার মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখবেন, একবার অলসতাকে প্রশ্রয় দিলে এর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। থানভী (রহ.) বলেছেন, ‘ইবাদত করতে অলসতাবোধ হলে ওই ইবাদতের মাধ্যমেই অলসতাকে মোকাবিলা করতে হবে। আর কোনো পাপের ইচ্ছা জাগলে মোকাবিলা করবে ওই পাপ কাজটি পরিত্যাগের মাধ্যমে।’ শয়তান সবসময় চায় বিভিন্ন ধোঁকার মাধ্যমে মানুষকে ভালো কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে। অলস ভাবটি মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করে দেয় শয়তান। এ জন্য আজকের কোনো ইবাদত আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। নেক কাজ করতে চাইলে এখনই করে নাও। মূলত অলসতার মোকাবিলা করাই অলসতার চিকিৎসা। অলসতার কাছে হিম্মত ত্যাগ করলে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়; বরং তার সামনে বুকটান করে দাঁড়াতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অলসতা ইসলামে অপছন্দনীয়

আপলোড টাইম : ১০:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: কাজ না করে অলস সময় কাটানো ইসলামে অপছন্দনীয়। কর্মঠ মানুষ সমাজে যেমন সমাদৃত হয়, তেমনি আল্লাহর কাছেও প্রিয়। যে নিজ হাতে রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করে, সেই হাতকে বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ। অলস মস্তিষ্ককে বলা হয়েছে শয়তানের আখড়া। মানুষ যখন নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকে, তখনই তার মন পাপ কাজের দিকে ধাবিত হয়। নিছক পার্থিব কাজে যেমন অলসতা নিন্দনীয়, তেমনি দীনের কোনো কাজে পিছিয়ে থাকাও কোরান-হাদিসের চোখে নিন্দনীয়। অনেক সময় ভালো কাজ করতে চাইলে শয়তান এসে বাদ সাধে। শয়তানের ধোঁকায় অনেক সময় মানুষ অলসতায় নিমগ্ন হয়ে পড়ে। কোনো কাজ করার সময় যখন অলসতা দেখা দেয়, তখন সেই সময়টি মানুষের জন্য পরীক্ষার। মন চাইবে অলসতার কাছে হার মেনে নিতে, কিন্তু সেটা মানা যাবে না। সাহসিকতা ও কর্মঠ মানসিকতার দ্বারা অলসতার মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখবেন, একবার অলসতাকে প্রশ্রয় দিলে এর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। থানভী (রহ.) বলেছেন, ‘ইবাদত করতে অলসতাবোধ হলে ওই ইবাদতের মাধ্যমেই অলসতাকে মোকাবিলা করতে হবে। আর কোনো পাপের ইচ্ছা জাগলে মোকাবিলা করবে ওই পাপ কাজটি পরিত্যাগের মাধ্যমে।’ শয়তান সবসময় চায় বিভিন্ন ধোঁকার মাধ্যমে মানুষকে ভালো কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে। অলস ভাবটি মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করে দেয় শয়তান। এ জন্য আজকের কোনো ইবাদত আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। নেক কাজ করতে চাইলে এখনই করে নাও। মূলত অলসতার মোকাবিলা করাই অলসতার চিকিৎসা। অলসতার কাছে হিম্মত ত্যাগ করলে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়; বরং তার সামনে বুকটান করে দাঁড়াতে হবে।