ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অভিযুক্ত মালেককে জেলহাজতে, শিশুটি এখন সুস্থ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার গোপিনাথপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে ছয় বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মালেককে (৫৫) জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নৌয়ালি গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার। তিনি জানান, যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা রতœা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের ৯ (১) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মালেককে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে সদর থানার তিনটি ও ডিবি পুলিশের একটি দল। মামলার ২৫ ঘণ্টার মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবির ও উপপরিদর্শক (এসআই) ভবতোষ ফোর্স নিয়ে যশোর জেলায় অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁরা রাত দেড়টার দিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার নৌয়ালি গ্রাম থেকে আত্মগোপনে থাকা ধর্ষক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার মালেককে গতকালই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেলসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা।
এদিকে যৌন নিপীড়নের শিকার স্কুলছাত্রী এখনো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসকেরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করেছেন। শিগগিরই শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, খাবারের লোভ দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার ছয় বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। এরপর ধর্ষক আব্দুল মালেক শিশুটিকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা রতœা খাতুন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই ধর্ষক আব্দুল মালেককে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আব্দুল মালেক পলাতক ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অভিযুক্ত মালেককে জেলহাজতে, শিশুটি এখন সুস্থ

আপলোড টাইম : ১০:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার গোপিনাথপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে ছয় বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মালেককে (৫৫) জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নৌয়ালি গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার। তিনি জানান, যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা রতœা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের ৯ (১) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মালেককে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে সদর থানার তিনটি ও ডিবি পুলিশের একটি দল। মামলার ২৫ ঘণ্টার মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবির ও উপপরিদর্শক (এসআই) ভবতোষ ফোর্স নিয়ে যশোর জেলায় অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁরা রাত দেড়টার দিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার নৌয়ালি গ্রাম থেকে আত্মগোপনে থাকা ধর্ষক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার মালেককে গতকালই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেলসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা।
এদিকে যৌন নিপীড়নের শিকার স্কুলছাত্রী এখনো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসকেরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করেছেন। শিগগিরই শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, খাবারের লোভ দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার ছয় বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। এরপর ধর্ষক আব্দুল মালেক শিশুটিকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা রতœা খাতুন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই ধর্ষক আব্দুল মালেককে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আব্দুল মালেক পলাতক ছিলেন।