ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবশেষে প্রতারক প্রেমিক সাজেদুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার কার্পাডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া প্রেমিকা সালমা এবার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর ফুসলিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের চাপ দেওয়ায় প্রেমিক সাজেদুল টালবাহানা করায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দু’দিন অনশন করেও কোনো ফল না পেয়ে এবার আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন বিএ ফল প্রত্যাশী কলেজ ছাত্রী সালমা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আইনে ধর্ষন ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাজেদুল হককে প্রধান আসামী করে বাবা, মা, ভাইসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বাদী সালমা আক্তার জুঁই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বাজারপাড়ার আজাহারুল হক বাবলুর ছেলে সাজেদুল হক ওই কলেজ  ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রেমিকা সালমা বিয়ের চাপ দিলে সে টালবাহানা করতে থাকে। গত ১৪ নভেম্ব^র প্রতারক প্রেমিক মোবাইল ফোনে প্রেমিকাকে বিয়ের আয়োজন করেছে বলে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আসতে বলে। পরে সে বাড়ি আছে বলে তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে বিকাল ৩টার দিকে সাজেদুলকে বাড়ি না পেয়ে সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থান নেয় সালমা খাতুন। সালমাকে বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার কথা জানতে পেরে প্রতারক প্রেমিক সাজেদুল গা ঢাকা দেয়। এ সময় সাজেদুলের চাচা প্রেমিকা সালমাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বলেন এবং পরদিন সাজেদুলকে খুজে এনে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু সালমা তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন কর হয়। পরদিন তিনি থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ এনে প্রেমিকাকে তার বাড়িতে দিয়ে আসেন।
বিয়ের দাবিতে সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থানের সময় এলাকাবাসী এবং সাংবাদিকদের কাছে সালমা জানান,  প্রায় তিন বছর আগে সাজেদুল হকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, এবং আমরা দুই জনই দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের বিএ ফল প্রত্যাশী। তারই সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জের ধরে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাজেদুল। এখন বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করতে থাকেন। ১৪ নভেম্ব^র আমাকে বিয়ে করবে বলে ফোনে কার্পাসডাঙ্গাসহ চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আসতে বলে এবং পরে তাকে না পেলে সে জানাই সে তার বাড়িতে আছে এবং সেখানে আসতে বলে বাড়িতে এসে তাকে না পেলে আমি বুঝতে পারি সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। এরপর তার সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেই। গতকাল সালমা কোন সুফল না পেয়ে অবশেষে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আইনে মামলা করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অবশেষে প্রতারক প্রেমিক সাজেদুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপলোড টাইম : ১০:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

দামুড়হুদার কার্পাডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া প্রেমিকা সালমা এবার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর ফুসলিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের চাপ দেওয়ায় প্রেমিক সাজেদুল টালবাহানা করায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দু’দিন অনশন করেও কোনো ফল না পেয়ে এবার আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন বিএ ফল প্রত্যাশী কলেজ ছাত্রী সালমা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আইনে ধর্ষন ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাজেদুল হককে প্রধান আসামী করে বাবা, মা, ভাইসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বাদী সালমা আক্তার জুঁই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বাজারপাড়ার আজাহারুল হক বাবলুর ছেলে সাজেদুল হক ওই কলেজ  ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রেমিকা সালমা বিয়ের চাপ দিলে সে টালবাহানা করতে থাকে। গত ১৪ নভেম্ব^র প্রতারক প্রেমিক মোবাইল ফোনে প্রেমিকাকে বিয়ের আয়োজন করেছে বলে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আসতে বলে। পরে সে বাড়ি আছে বলে তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে বিকাল ৩টার দিকে সাজেদুলকে বাড়ি না পেয়ে সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থান নেয় সালমা খাতুন। সালমাকে বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার কথা জানতে পেরে প্রতারক প্রেমিক সাজেদুল গা ঢাকা দেয়। এ সময় সাজেদুলের চাচা প্রেমিকা সালমাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বলেন এবং পরদিন সাজেদুলকে খুজে এনে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু সালমা তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন কর হয়। পরদিন তিনি থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ এনে প্রেমিকাকে তার বাড়িতে দিয়ে আসেন।
বিয়ের দাবিতে সাজেদুলের বাড়িতে অবস্থানের সময় এলাকাবাসী এবং সাংবাদিকদের কাছে সালমা জানান,  প্রায় তিন বছর আগে সাজেদুল হকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, এবং আমরা দুই জনই দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের বিএ ফল প্রত্যাশী। তারই সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জের ধরে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাজেদুল। এখন বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করতে থাকেন। ১৪ নভেম্ব^র আমাকে বিয়ে করবে বলে ফোনে কার্পাসডাঙ্গাসহ চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আসতে বলে এবং পরে তাকে না পেলে সে জানাই সে তার বাড়িতে আছে এবং সেখানে আসতে বলে বাড়িতে এসে তাকে না পেলে আমি বুঝতে পারি সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। এরপর তার সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেই। গতকাল সালমা কোন সুফল না পেয়ে অবশেষে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আইনে মামলা করছে।