ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অন্যের জিনিস ব্যবহারে অনুমতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮
  • / ১৪২৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম মানুষের সামাজিকতার দিকটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সমাজ জীবনে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য খুঁটিনাটি বিষয়ের ব্যাখ্যা ও নীতিমালা বর্ণনা করেছে ইসলাম। সংঘবদ্ধ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কেউ কারো সহযোগিতা এড়িয়ে চলা মুশকিল। তবে অন্যের সহযোগিতা পাওয়ার বিধান ও সীমারেখা কী সে সম্পর্কে ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় আলোকপাত করা হয়েছে। কারো জিনিস তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। হাদিসে স্পষ্টভাবে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যেন নিজ সাথীর কোনো জিনিস অনুমতি ছাড়া না নেয়।’ এমনকি কৌতুকচ্ছলেও মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস নেয়া যাবে না। যার জিনিস নেয়া হয়েছে, সে যত কাছের লোকই হোক অনুমতি ছাড়া নিলে গুনাহগার হতে হবে। অনুমতি চাওয়ার পর তা না পেয়ে জিনিস ব্যবহার করলেও সেটা অবৈধ হবে। অন্যের জিনিস ব্যবহারের ব্যাপারে শরীয়ত বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। বিশেষ প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে অন্যের জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের জিনিসের মতো যতœ করতে হবে। কোনো কারণে জিনিসের ক্ষতি হয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণ দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে। কোথাও মেহমান গেলে আগে ভেবে দেখতে হবে মেহমানের কোনো জিনিস ব্যবহারে তার যেন বিরক্তির উদ্রেক না হয়। মেহমান অখুশি হবে জানলে তার জিনিস ব্যবহার করা সমীচীন নয়। বলা নেই, কওয়া নেই, একজনের বাসায় হুট করে চলে যাওয়াও দীন পরিপন্থী। হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘একজন মুসলমানের যে কোনো জিনিস তার মনের সন্তুষ্টি ছাড়া অপর মুসলমানের জন্য হালাল নয়।’ কারো কাছ থেকে কোনো কিছু ধার নিলে যথাসময়ে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই মনে করে বই ধার নিয়ে ফেরত না দিলেও চলবে, কিন্তু এটা ভুল ধারণা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ধার করা বস্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মালিককে ফেরত দাও।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অন্যের জিনিস ব্যবহারে অনুমতি

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম মানুষের সামাজিকতার দিকটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সমাজ জীবনে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য খুঁটিনাটি বিষয়ের ব্যাখ্যা ও নীতিমালা বর্ণনা করেছে ইসলাম। সংঘবদ্ধ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কেউ কারো সহযোগিতা এড়িয়ে চলা মুশকিল। তবে অন্যের সহযোগিতা পাওয়ার বিধান ও সীমারেখা কী সে সম্পর্কে ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় আলোকপাত করা হয়েছে। কারো জিনিস তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। হাদিসে স্পষ্টভাবে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যেন নিজ সাথীর কোনো জিনিস অনুমতি ছাড়া না নেয়।’ এমনকি কৌতুকচ্ছলেও মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস নেয়া যাবে না। যার জিনিস নেয়া হয়েছে, সে যত কাছের লোকই হোক অনুমতি ছাড়া নিলে গুনাহগার হতে হবে। অনুমতি চাওয়ার পর তা না পেয়ে জিনিস ব্যবহার করলেও সেটা অবৈধ হবে। অন্যের জিনিস ব্যবহারের ব্যাপারে শরীয়ত বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। বিশেষ প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে অন্যের জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের জিনিসের মতো যতœ করতে হবে। কোনো কারণে জিনিসের ক্ষতি হয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণ দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে। কোথাও মেহমান গেলে আগে ভেবে দেখতে হবে মেহমানের কোনো জিনিস ব্যবহারে তার যেন বিরক্তির উদ্রেক না হয়। মেহমান অখুশি হবে জানলে তার জিনিস ব্যবহার করা সমীচীন নয়। বলা নেই, কওয়া নেই, একজনের বাসায় হুট করে চলে যাওয়াও দীন পরিপন্থী। হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘একজন মুসলমানের যে কোনো জিনিস তার মনের সন্তুষ্টি ছাড়া অপর মুসলমানের জন্য হালাল নয়।’ কারো কাছ থেকে কোনো কিছু ধার নিলে যথাসময়ে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই মনে করে বই ধার নিয়ে ফেরত না দিলেও চলবে, কিন্তু এটা ভুল ধারণা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ধার করা বস্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মালিককে ফেরত দাও।