ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অন্তিম শয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তিম শয়নে শায়িত হয়েছেন অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। গতকাল সোমবার মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে এই বীর সেনানীকে সমাহিত হয়। এর আগে বিকেল পাঁচটায় পৌরসভা চত্বরে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) লুৎফুল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান ও ফজলুর রহমান সালাম প্রদর্শন করেন। এর আগে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝের পাড়ার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান রুপালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা শাখাতে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি (সেকেন্ড অফিসার) করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
মরহুম আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে আশরাফুল রহমান মিলন জানান, রুপালী ব্যাংক থেকে অবসরের কিছুদিন আগেই মরণব্যধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারলেও গত কয়েকমাস ধরে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারান। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সহযোদ্ধা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর দাফনকার্যে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অন্তিম শয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তিম শয়নে শায়িত হয়েছেন অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। গতকাল সোমবার মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে এই বীর সেনানীকে সমাহিত হয়। এর আগে বিকেল পাঁচটায় পৌরসভা চত্বরে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) লুৎফুল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান ও ফজলুর রহমান সালাম প্রদর্শন করেন। এর আগে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝের পাড়ার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান রুপালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা শাখাতে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি (সেকেন্ড অফিসার) করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
মরহুম আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে আশরাফুল রহমান মিলন জানান, রুপালী ব্যাংক থেকে অবসরের কিছুদিন আগেই মরণব্যধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারলেও গত কয়েকমাস ধরে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারান। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সহযোদ্ধা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর দাফনকার্যে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে।