ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে জালিয়াতি ধরার উপায়

প্রযুক্তি ডেস্ক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার জালিয়াতরা। ঠিক যেমনটা নাগপুরের এক মহিলার সঙ্গে ঘটেছে সম্প্রতি। কয়েক মুহূর্তে ১.১৩ লাখ টাকা খুইয়েছেন তিনি। অনলাইনে মোটা বেতনের চাকরির অফার আমরা প্রায়শই দেখে থাকি। কিন্তু এই ধরনের চাকরি যে আসলে পাওয়া যায় না, তাও আমরা জানি। কিন্তু তার পরেও লোভের পরে সেই চাকরির খোঁজেই নিজেদের সঞ্চয় হারিয়ে ফেলি। নাগপুরের সেই মহিলাও অনলাইন চাকরির লোভনীয় অফারে বেমালুম ঠকেছেন। ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলাকে অনলাইনেই বিশাল বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মহিলার বয়স ২৩ বছর। গত ৪ ডিসেম্বর অপরিচিত একজন তার ফোনে একটি বার্তা পাঠায়। আর সেই প্রেরক একটি ই-কমার্স ফার্মের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলে দাবি করেন। মহিলাকে অনলাইনে প্রতিদিন ৫০০০ টাকার কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মেসেজের ভিতরেই ছিল একটি লিঙ্ক। ম্যালিশিয়াস লিঙ্কের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই। লিঙ্কে ক্লিক করলে একটি অনলাইন পেজ খুলে যায়। আর সেখানেই রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিছু টাকাও খরচ করতে হয়েছিল ওই মহিলাকে। টাকা দেওয়ার পরেই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার একটি বিল চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। পেয়েও গিয়েছিলেন তা। কিন্তু তার পরে টাকার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। নানা অজুহাতে ওই মহিলার কাছ থেকে মোট ১.১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। আর যখন তিনি বুঝতে পারেন যে এমন কোনও চাকরি নেই, তিনি প্রতারিত হচ্ছেন – ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এর পর তিনি সোজা পুলিশের কাছে যান। পুরো বিষয়টি বিশদে জানিয়ে তার পরে আইপিসি ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। প্রমাণ হিসেবে সেই রেজিস্ট্রেশনের বিল এবং ট্রান্জাকশনের সব তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

অনলাইন স্ক্যাম এড়াবেন যেভাবে

১) অপরিচিত কোনও মানুষের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। আপনার বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে আসা লিঙ্ক নিয়েও যথেষ্ট সতর্ক থাকুন। ২) আপনি যদি মনে করেন যে লিঙ্কটি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট বা ব্যাংক ওয়েবসাইট থেকে এসেছে, সে ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কখনও কখনও ভুয়া নামেও লিঙ্ক তৈরি করা হয়। ৩) লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু- তাই লোভের বশবর্তী হয়ে এই ধরনের ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করবেন না। বিশেষ করে যখন এই বিপুল পরিমাণ বেতনের কথা বলা হয়। ৪) ওয়েবসাইটে কোনও অনলাইন পেমেন্ট করবেন না। সর্বদা প্রথমে কোম্পানির টজখ চেক করুন। URL-G https://লেখা আছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখুন। এক মাত্র এর দ্বারাই সিকিওর কানেকশন সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। ৫) সর্বদা ওয়েবসাইটের বানান ভাল করে দেখে নিন। জাল ওয়েবসাইটে সাধারণত ভুল বানান ব্যবহৃত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অনলাইনে জালিয়াতি ধরার উপায়

আপলোড টাইম : ০৩:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার জালিয়াতরা। ঠিক যেমনটা নাগপুরের এক মহিলার সঙ্গে ঘটেছে সম্প্রতি। কয়েক মুহূর্তে ১.১৩ লাখ টাকা খুইয়েছেন তিনি। অনলাইনে মোটা বেতনের চাকরির অফার আমরা প্রায়শই দেখে থাকি। কিন্তু এই ধরনের চাকরি যে আসলে পাওয়া যায় না, তাও আমরা জানি। কিন্তু তার পরেও লোভের পরে সেই চাকরির খোঁজেই নিজেদের সঞ্চয় হারিয়ে ফেলি। নাগপুরের সেই মহিলাও অনলাইন চাকরির লোভনীয় অফারে বেমালুম ঠকেছেন। ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলাকে অনলাইনেই বিশাল বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মহিলার বয়স ২৩ বছর। গত ৪ ডিসেম্বর অপরিচিত একজন তার ফোনে একটি বার্তা পাঠায়। আর সেই প্রেরক একটি ই-কমার্স ফার্মের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলে দাবি করেন। মহিলাকে অনলাইনে প্রতিদিন ৫০০০ টাকার কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মেসেজের ভিতরেই ছিল একটি লিঙ্ক। ম্যালিশিয়াস লিঙ্কের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই। লিঙ্কে ক্লিক করলে একটি অনলাইন পেজ খুলে যায়। আর সেখানেই রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিছু টাকাও খরচ করতে হয়েছিল ওই মহিলাকে। টাকা দেওয়ার পরেই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার একটি বিল চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। পেয়েও গিয়েছিলেন তা। কিন্তু তার পরে টাকার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। নানা অজুহাতে ওই মহিলার কাছ থেকে মোট ১.১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। আর যখন তিনি বুঝতে পারেন যে এমন কোনও চাকরি নেই, তিনি প্রতারিত হচ্ছেন – ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এর পর তিনি সোজা পুলিশের কাছে যান। পুরো বিষয়টি বিশদে জানিয়ে তার পরে আইপিসি ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। প্রমাণ হিসেবে সেই রেজিস্ট্রেশনের বিল এবং ট্রান্জাকশনের সব তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

অনলাইন স্ক্যাম এড়াবেন যেভাবে

১) অপরিচিত কোনও মানুষের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। আপনার বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে আসা লিঙ্ক নিয়েও যথেষ্ট সতর্ক থাকুন। ২) আপনি যদি মনে করেন যে লিঙ্কটি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট বা ব্যাংক ওয়েবসাইট থেকে এসেছে, সে ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কখনও কখনও ভুয়া নামেও লিঙ্ক তৈরি করা হয়। ৩) লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু- তাই লোভের বশবর্তী হয়ে এই ধরনের ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করবেন না। বিশেষ করে যখন এই বিপুল পরিমাণ বেতনের কথা বলা হয়। ৪) ওয়েবসাইটে কোনও অনলাইন পেমেন্ট করবেন না। সর্বদা প্রথমে কোম্পানির টজখ চেক করুন। URL-G https://লেখা আছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখুন। এক মাত্র এর দ্বারাই সিকিওর কানেকশন সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। ৫) সর্বদা ওয়েবসাইটের বানান ভাল করে দেখে নিন। জাল ওয়েবসাইটে সাধারণত ভুল বানান ব্যবহৃত হয়।