ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অনন্য ইবাদত কিয়ামুল লাইল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২২৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কিয়াম শব্দের অর্থ দাঁড়ানো বা দ-ায়মান হওয়া। আর দ-ায়মান হওয়া নামাজের আরকানের একটি। হোক সেটি ফরজ কিংবা নফল। এখানে কিয়ামুল লাইল বলতে- গভীর রজনীতে দাঁড়িয়ে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে বুঝানো হয়েছে। যে নামাজের ব্যাপারে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা মুজাম্মিলে বর্ণিত হয়েছে- ‘রাতে জাগরণ করো (নামাজ আদায় করো)। রাতের কিছু অংশ বা তার কম অথবা তার একটু বেশি’। আর নফল নামাজের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় নামাজ হচ্ছে কিয়ামুল লাইল; যা তাহাজ্জুদ নামাজ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মুত্তাকিদের গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে ঘোষণা করেন- ‘তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত’। (সূরা আযযারিয়াত : ১৭-১৮) সুতরাং রাতে কম ঘুমিয়ে নামাজে মশগুল থাকা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা নেককার, পরহেজগার ও মুত্তাকিদের অন্যতম বিশেষ গুণ। প্রবৃত্তি দলনে কিয়ামুল লাইলের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। মানুষের নফস বা প্রবৃত্তি সৃষ্টিগতভাবে মানুষকে মন্দ ও খারাপ কাজের দিকে পরিচালিত করে। নফসের কুপ্রভাব, প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এবং নফসের উন্নতি সাধনে এই নামাজের কার্যকারিতা অতুলনীয়। কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে : ‘নিশ্চয় ইবাদতের জন্য রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল’। (সূরা মুজাম্মিল : আয়াত : ৬) সুতরাং রাত্রিতে জেগে মনের সব কালিমা মোচনের জন্য কিয়ামুল লাইল অধিক ফলপ্রসূ। আর নফসের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হলে মুমিনের রাত জাগরণ করা জরুরি। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা: বলেন, তাহাজ্জুদ-এর অর্থ রাত্রিতে ঘুমের পর গাত্রোত্থান করা। সুতরাং এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ। কিয়ামুল লাইল নামাজ আদায়ের শ্রেষ্ঠ সময় পবিত্র রমজান মাস : রাসূলে আকরাম সা: রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল বা রাত্রিকালীন ইবাদতকে অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় এ মাসে বেশি কিয়ামুল লাইল আদায় করেছেন। কিয়ামুল লাইল আদায় করলে গুনাহ মাফের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। অপর একটি হাদিসে রাসূল সা: বলেন : ‘কেউ রমজানে একটি নফল আদায় করলে অন্য সময়ের ফরজ আদায়ের সওয়াব পাবে। আর ফরজ আদায় করলে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান হবে।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং- ৩৩৩৬)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অনন্য ইবাদত কিয়ামুল লাইল

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: কিয়াম শব্দের অর্থ দাঁড়ানো বা দ-ায়মান হওয়া। আর দ-ায়মান হওয়া নামাজের আরকানের একটি। হোক সেটি ফরজ কিংবা নফল। এখানে কিয়ামুল লাইল বলতে- গভীর রজনীতে দাঁড়িয়ে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে বুঝানো হয়েছে। যে নামাজের ব্যাপারে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা মুজাম্মিলে বর্ণিত হয়েছে- ‘রাতে জাগরণ করো (নামাজ আদায় করো)। রাতের কিছু অংশ বা তার কম অথবা তার একটু বেশি’। আর নফল নামাজের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় নামাজ হচ্ছে কিয়ামুল লাইল; যা তাহাজ্জুদ নামাজ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মুত্তাকিদের গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে ঘোষণা করেন- ‘তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত’। (সূরা আযযারিয়াত : ১৭-১৮) সুতরাং রাতে কম ঘুমিয়ে নামাজে মশগুল থাকা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা নেককার, পরহেজগার ও মুত্তাকিদের অন্যতম বিশেষ গুণ। প্রবৃত্তি দলনে কিয়ামুল লাইলের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। মানুষের নফস বা প্রবৃত্তি সৃষ্টিগতভাবে মানুষকে মন্দ ও খারাপ কাজের দিকে পরিচালিত করে। নফসের কুপ্রভাব, প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এবং নফসের উন্নতি সাধনে এই নামাজের কার্যকারিতা অতুলনীয়। কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে : ‘নিশ্চয় ইবাদতের জন্য রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল’। (সূরা মুজাম্মিল : আয়াত : ৬) সুতরাং রাত্রিতে জেগে মনের সব কালিমা মোচনের জন্য কিয়ামুল লাইল অধিক ফলপ্রসূ। আর নফসের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হলে মুমিনের রাত জাগরণ করা জরুরি। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা: বলেন, তাহাজ্জুদ-এর অর্থ রাত্রিতে ঘুমের পর গাত্রোত্থান করা। সুতরাং এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ। কিয়ামুল লাইল নামাজ আদায়ের শ্রেষ্ঠ সময় পবিত্র রমজান মাস : রাসূলে আকরাম সা: রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল বা রাত্রিকালীন ইবাদতকে অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় এ মাসে বেশি কিয়ামুল লাইল আদায় করেছেন। কিয়ামুল লাইল আদায় করলে গুনাহ মাফের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। অপর একটি হাদিসে রাসূল সা: বলেন : ‘কেউ রমজানে একটি নফল আদায় করলে অন্য সময়ের ফরজ আদায়ের সওয়াব পাবে। আর ফরজ আদায় করলে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান হবে।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং- ৩৩৩৬)