ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষ এস. এম. ইস্রাফিল-এর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
অধ্যক্ষ এস. এম. ইস্রাফিল-এর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৪৫ সালের এই দিনে (১৫ নভেম্বর) জন্মগ্রহণ করেন। মা হালিমা খাতুন, বাবা শেখ কায়েমুদ্দিন। তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়; ভাইদের মধ্যে ছোট। চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় জন্ম ও বেড়ে উঠলেও আদি পৈতৃক নিবাস ছিল ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার রাধাকান্তপুর গ্রামে (ঐতিহাসিক পলাশীর প্রান্তর সংলগ্ন)। ১৯৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা ভি. জে. হাইস্কুল থেকে ম্যাট্টিক, ১৯৬২ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৬৪ সালে বিএসসি ও ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি চুয়াডাঙ্গার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করলেও চুয়াডাঙ্গা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬৮ সালে সেখানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিয়ে সুদীর্ঘ ২৬ বছর শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে মাদারীপুর সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজ ও খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ-এ সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ২০০১ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন। সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজারের বিখ্যাত বলাকী মোল্লা বাড়ির প্রয়াত মতিউর রহমানের বড় কন্যা নাছিমা রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের চাচাতো-চাচতো বোন) সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একমাত্র ছেলে রাজিব আহমেদ ও একমাত্র মেয়ে শেখ নাদিয়া আহমেদ (নদী)।
অধ্যাপক এস এম ইস্রাফিল বাংলাদেশের প্রবীণতম সক্রিয় টেনিস খেলোয়াড়। তিনি টানা ৬২ বছর ধরে নিয়মিত টেনিস খেলছেন। এখনো বিকেল হলেই টেনিস মাঠে ছুটে যান। সঙ্গত কারণেই তিনি সম্পূর্ণ রোগমুক্ত সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তাঁর খাওয়া-দাওয়া সীমিত, ঘুম ও বিশ্রাম পর্যাপ্ত এবং উদ্বেগহীন সুখী জীবনযাপন করেন। অদ্যাবধি চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয়ভাবে অনেক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাঁর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ছেলে রাজিব আহমেদ ও মেয়ে শেখ নাদিয়া আহমেদ (নদী)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অধ্যক্ষ এস. এম. ইস্রাফিল-এর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদক:
অধ্যক্ষ এস. এম. ইস্রাফিল-এর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৪৫ সালের এই দিনে (১৫ নভেম্বর) জন্মগ্রহণ করেন। মা হালিমা খাতুন, বাবা শেখ কায়েমুদ্দিন। তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়; ভাইদের মধ্যে ছোট। চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় জন্ম ও বেড়ে উঠলেও আদি পৈতৃক নিবাস ছিল ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার রাধাকান্তপুর গ্রামে (ঐতিহাসিক পলাশীর প্রান্তর সংলগ্ন)। ১৯৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা ভি. জে. হাইস্কুল থেকে ম্যাট্টিক, ১৯৬২ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৬৪ সালে বিএসসি ও ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি চুয়াডাঙ্গার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করলেও চুয়াডাঙ্গা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬৮ সালে সেখানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিয়ে সুদীর্ঘ ২৬ বছর শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে মাদারীপুর সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজ ও খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ-এ সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ২০০১ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন। সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজারের বিখ্যাত বলাকী মোল্লা বাড়ির প্রয়াত মতিউর রহমানের বড় কন্যা নাছিমা রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের চাচাতো-চাচতো বোন) সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একমাত্র ছেলে রাজিব আহমেদ ও একমাত্র মেয়ে শেখ নাদিয়া আহমেদ (নদী)।
অধ্যাপক এস এম ইস্রাফিল বাংলাদেশের প্রবীণতম সক্রিয় টেনিস খেলোয়াড়। তিনি টানা ৬২ বছর ধরে নিয়মিত টেনিস খেলছেন। এখনো বিকেল হলেই টেনিস মাঠে ছুটে যান। সঙ্গত কারণেই তিনি সম্পূর্ণ রোগমুক্ত সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তাঁর খাওয়া-দাওয়া সীমিত, ঘুম ও বিশ্রাম পর্যাপ্ত এবং উদ্বেগহীন সুখী জীবনযাপন করেন। অদ্যাবধি চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয়ভাবে অনেক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাঁর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ছেলে রাজিব আহমেদ ও মেয়ে শেখ নাদিয়া আহমেদ (নদী)।