৩ দিন পর চুয়াডাঙ্গায় উঁকি দিয়েছে সূর্য, জনজীবনে স্বস্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুযাডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তিনদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই দেখা মিলেছে সূর্যের। এতে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের আট জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় এ জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্য উঠলে তাপমাত্রা বেড়ে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাই। তারপর থেকেই শীতের তীব্রতা কমে। তবে মাঝেমধ্যে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূতও হচ্ছে বেশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শুক্রবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তখন শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটবে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সাগর নামের এক হোটেলশ্রমিক বলেন, ‘কয়েকদিন তো কাজই করতে পারিনি। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) রোদ উঠেছে, একটু শীত কম লাগছে বিধায় কাজ করতে পারছি। আবার যদি আগের মতো শীত আর কুয়াশা পড়ে তবে আমাকে আবার বসে থাকতে হবে। কাজে আসা হবে না।’

চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার হোটেল মালিক রবিউল বলেন, তিনদিন পর আজ দোকানে বেচাবিক্রি ঠিকঠাকমতো হলো। আমি চাই নিয়মিত রোদ উঠুক, নাহলে আমাদের পুঁজি ভেঙে খেতে হবে।

পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল সেলাইয়ের কাজে কর্মরত দিলীপ দাস বলেন, ‘চারদিন পরে কাজে বসেছি। কাজও হচ্ছে। আবার কুয়াশা আর শীত বেড়ে গেলে কাজে বসা হবে না।’

ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক শুকুর আলী বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বেশ হচ্ছে। মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে। এই আবহাওয়া থাকলে দু-মুঠো ভাত জুটবে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘কুয়াশা না থাকায় দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় সূর্য উঁকি দিয়েছে। তবে রোদের কারণে দিনে শীত কিছুটা কম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর শীত বাড়তে শুরু করে। কারণ চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’