১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক
- আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৮৬৩ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকীতে “জাতীয় শোক দিবস” উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৮ কিভাবে পালন করা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি জিয়াউদ্দীন আহমেদ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি সঠিক এবং সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন- যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা বহুগুণে বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেকটা আশার কথা। একটা সময় মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার শোক দিবসে কোন কর্মসূচি পালন করা হতো না। সে প্রেক্ষাপট এখন আর নেই। এখন অনেকটাই এ বিষয়ে আমার এগিয়ে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যাদের জন্য আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি সে সব বীর এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করা হবে। এসময় জাতীয় পতাকা টাঙানোর বিষয়ে তিনি বলেন মার্কেটগুলোতে ইচ্ছামত নিয়ম না মেনে জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়। সেটাই দেশের প্রতি ভালোবাসার পরির্বতে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়। এক্ষেত্রে মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের মার্কেটে এক জায়গায় সবাই একসাথে নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন করার বিষয়ে পরামর্শ দেন। কারন এতে ভালোবাসাও থাকবে এবং পতাকার অবমাননাও হবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীন সভার কার্যবিবরণী তুলে ধরেন। এতে বলা হয় ১৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ্ ও নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়ার আয়োজন করবে। বাদ আছর দেশের সর্বত্র মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সুবিধামত সময়ে জেলার সকল মন্দির, গীর্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশ ও শিশু একাডেমিতে নানা রকম প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে লিখিত রচনা প্রতিযোগীতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট এবং ১৩ আগস্ট চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে। এব্যাপারে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। প্রস্তুতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেরা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান তালুকদারসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।