নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের আমিন ফার্মেসির বিরুদ্ধে তিনগুণ বেশি মূল্যে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে আমিন ফার্মেসিতে এন্টাজল নাসাল ড্রপস কিনতে গেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার ফয়সাল বিশ্বাসের নিকট থেকে ১১ টাকার এন্টাজল নাসাল ড্রপস ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তভোগী অভিযোগকারী যুবক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ার ফিল্টুর ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর।
ভুক্তভোগী ফয়সাল বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মা ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে একটি নাকের ড্রপ কিনতে আমিন ফার্মেসিতে যায়। ওষুধের গায়ে মূল্য ১১ টাকা ৫৫ পয়সা লেখা থাকলেও ফার্মেসির লোকজন আমার নিকট থেকে তার দাম নেয় ৩৫ টাকা। এসময় তাদের নিকট অতিরিক্ত দাম নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলে বর্তমানে ওষুধের দাম বেশি। সে কারণে তার কাছ থেকে বেশি নেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিন ফার্মেসির মালিক জেডএম রওশন আমিন রতন বলেন, বেশকিছু ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এর মধ্যে এই ড্রপটিও রয়েছে। ড্রপটির মূল্য এখন ২০ টাকা, ভুল করে হয়ত ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল হক লাভলু বলেন, ওষুধের গায়ে যে দাম লেখা আছে, ওই দামেই বিক্রি করতে হবে। ওষুধের দাম বাড়লে তা ওষুধের বক্সেই থাকবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত দাম নেয়া অবশ্যই অপরাধ। পণ্যের গায়ে যে দাম লেখা থাকবে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।