আলমডাঙ্গায় গভীর রাতে ঘুমন্ত গৃহবধূকে সাপের দংশন
রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে কাজলী বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত কাজলী বেগম আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি বেলগাছী গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, গত বুধবার রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন কাজলী বেগম। রাত আমুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে সাপের কামড়ে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। এ সময় যন্ত্রণায় চিৎকার করলে কাজলী বেগমকে সাপে কামড়েছে বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রæত পাশের গ্রামের পরিচিত এক কবিরাজের নিকট নিয়ে যান। খেজুরতলা গ্রামের কবিরাজ আজিজুলের কবিরাজির নাম-ডাক থাকলেও ভোর পর্যন্ত কাজলী বেগমকে ঝাড়ফুঁক করেও কাজলীর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিতে বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা কাজলী বেগমকে আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কাজলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসা দিয়ে দ্রæত ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝেতে তাঁর শরীরে সাপের বিষের প্রতিষেধক ১০টি অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন পুষ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, ‘সাপে কামড়ের ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর তাঁকে হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে। বিষধর সাপের বিষ দ্রæত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর শরীরে ১০টি অ্যান্টিভেনম ইপজেকশন পুষ করা হয়েছে। আমরা তাঁকে সাধ্যমতে চিকিৎসা দিয়েছি। তারপরেও বেলা দুইটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাপের কামড়ের পর প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁকে হাসপাতালে নিলে হয়ত তাঁকে বাঁচানো যেত।’