
স্বাস্থ্য প্রতিবেদন:
হার্নিয়া হল পাকস্থলীর একটি রোগ, যাতে অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পেটে গর্ত হতে শুরু করে। হার্নিয়া সাধারণত পেটে হয় তবে এটি উরুর উপরের অংশ, নাভি এবং কুঁচকির চারপাশেও হতে পারে। হার্নিয়ায় কোমরের পেশী দুর্বল হতে থাকে। এই রোগটি পুরুষ ও নারী নির্বিশেষে হতে পারে । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদেরই এই রোগ হতে দেখা যায়।
হার্নিয়া তাদের ক্ষেত্রে বেশি হয় যারা অতিরিক্ত ওজন তুলেছেন বা কখনও গভীর আঘাত লেগেছে বা কোনও অস্ত্রপচার হয়েছে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কাশির সমস্যা আছে তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারীরাও হার্নিয়ায় আক্রান্ত হন। হার্নিয়া উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেটের চর্বি বের হওয়া, প্রস্রাব করতে অসুবিধা, তলপেটে ফুলে যাওয়া। পেটের ত্বক দুর্বল হয়ে গেলে এই হার্নিয়া হয়। কুঁচকিতে টিস্যু ও অন্ত্রের অংশ চলে আসে।
ফ্যাটি টিস্যু বা অন্ত্রের কিছু অংশ কুঁচকিতে প্রবেশ করলে ফেমোরাল হার্নিয়া হয় – উরুর উপরের অংশে। এই হার্নিয়া নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। নাভির হার্নিয়া হয় যখন ফ্যাটি টিস্যু বা অন্ত্রের কিছু অংশ নাভি দিয়ে বেরিয়ে আসে। পেটে বারবার চাপের কারণে, গর্ভাবস্থা এবং স্থূলতায় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুরাতন অস্ত্রপচারের দাগে এই হার্নিয়া হয়। স্তনের হাড়ের নীচের অংশে স্ফিত ভাব দেখা দেয়। পেটের অঙ্গগুলি বুকের দিকে সরে আসে। কোনও আঘাতের কারণে হতে পারে। সাধারণত পায়ে দেখা দেয়। খেলার কারণে আঘাত লেগেও এই ধরণের হার্নিয়া হতে পারে।