আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি উচ্ছেদের পর সেই শূন্যস্থান যাতে আর বেদখল না হয় সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি পরিমাপ করে বুঝে নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলীর উপস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদ বেদখল জমি বুঝে নেন। একই সঙ্গে উক্ত জমি পুণরায় যেন বেদখল না হয় সে জন্য ওই উদ্ধারকৃত জমি ঘিরে সুদৃশ্য ফুলের বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, হারদীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের দুপাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি দখল করে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। এমনকি পাটকাঠি ও বাঁশের হাট গড়ে উঠেছিল। শহর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বেশ দূরে অবস্থিত হওয়ায় এ অবৈধ দখলের বিষয়টি সহজেই প্রশাসনের নজর এড়িয়েছে। তাছাড়া, দূর-দূরান্ত থেকে এখানে দায়িত্বে আসা কর্মকর্তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো বিরোধে জড়াতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে বছরের পর বছর ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমিতে অবৈধভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে নির্বিঘেœ ব্যবসা করে আসছিলো। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের জমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মোন্তাজ খানের চা’র দোকান, দীনু শেখের চা’র দোকান, সুমনের চা’র দোকান, তুফানের চা’র দোকান, ফরিদ মীরের ফার্নিচারের দোকান, সোহেল খানের হোটেলসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী জানান, অবৈধভাবে নির্মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের পর পুনরায় যাতে দখল করতে না পারে, সে জন্য সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমি ঘিরে ফুলের বাগান তৈরি করা হবে। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর আবার কিছু দিনের মধ্যেই তা দখল হয়ে যায়। এখানে সেটা সম্ভব হবে না। সরকারি জমি উদ্ধারে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদের প্রশংসা করেন।
