ধর্ম ডেস্ক: সবারই হাউজে কাউসারের পানি পান করার সৌভাগ্য হবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতের অনুসারী, তাঁর পথ ও মতের ধারক বাহকরাই তাঁর কাছে হাউজের পাশে অবস্থান গ্রহণের সুযোগ পাবে। যারা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে ছিল তারাও এ সুযোগ পাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা কবিরা গুনাহ তা থেকে বিরত থাকলে আমি তোমাদের ছোট গুনাহগুলো ক্ষমা করব এবং তোমাদের সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব (সূরা নিসা: ৩১)। যারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করে, তারাও হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারবে। একদল সৌভাগ্যবান দরিদ্র মুহাজির সর্বপ্রথম হাউজে কাউসারের পানি পান করার মহান গৌরব অর্জন করবে। তারা সর্বপ্রথম হাউজের পাড়ে আসবে। তাদের অবস্থা এমনÑ যাদের গায়ে ধুলোমলিন ফ্যাকাসে পোশাক, এলোমেলো কেশ, সচ্ছল পরিবারের কোনো মেয়ে যাদের বিয়ে করে না, যাদের জন্য দরজা খোলা হয় না। এটা তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ। এ দারিদ্র্য আর সরল জীবনই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সহজ পথ। কেয়ামতের দিন রাসুলুল্লাকে (সা.) হাউজে কাউসার দেয়া হবে। এমন এক কঠিন সময়ে এটি তাঁকে দেয়া হবে যখন সবাই ‘পানি পানি’ বলে চিৎকার করতে থাকবে। সে সময় তাঁর উম্মত তাঁর কাছে এ হাউজের চারদিকে সমবেত হবে এবং এর পানি পান করবে। তিনি সবার আগে সেখানে পৌঁছবেন এবং তার মাঝ বরাবর জায়গায় বসে থাকবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের সবার আগে সেখানে পৌঁছে যাব (বোখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমাদ)। তিনি আরো বলেছেন, আমি তোমাদের আগে পৌঁছে যাব, তোমাদের জন্য সাক্ষ দেব এবং আল্লাহর কসম, আমি এ মুহূর্তে আমার হাউজ দেখতে পাচ্ছি (বোখারি)। তিনি বলেছেন, সেটি একটি হাউজ। আমার উম্মত কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। (মুসলিম ও আবু দাউদ)। একবার মদিনার আনসারি সাহাবিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার পরে তোমরা স্বার্থবাদিতা ও স্বজনপ্রীতির পাল্লায় পড়বে। তখন তার ওপর ধৈর্য ধারণ করবে আমার সঙ্গে হাউজে কাউসারে এসে মিলিত হওয়া পর্যন্ত (বোখারি ও মুসলিম)। আল্লাহ তায়ালা হাশরের ময়দানে আমাদের হাউজে কাউসারের পানি পান করার তৌফিক দান করুন।