ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি হলেন গোপিনাথপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে নাজমুল (২৫)। অভিযোগে ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, শুক্রবার দুপুরে তাঁর মেয়ে পিতার সঙ্গে গ্রামের মাঠে যায়। কাজ শেষে সে একা বাড়ি ফেরার সময় নাজমুল জোরপূর্বক তাঁর হাত ও মুখ চেপে ধরে নিকটস্থ পানবরজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে তাঁর মেয়ের জামাকাপড় ছিড়ে যায়। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর বোন জানান, ওই দিন তাঁর বোনকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নাজমুল জোরপূর্বক তার মুখ ও হাত চেপে ধরে মাঠের পানবরজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নাজমুলের পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনার মীমাংসার জন্য তাঁরা হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্ত নাজমুলের পিতা আক্তার হোসেন জানান, ঘটনাটি মিথ্যা। সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। জানতে চাইলে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত নাজমুল লম্পট প্রকৃতির ছেলে। তাঁর নামে এলাকায় এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের পরিবার প্রভাবশালী বলে সে পার পেয়ে যায়।
