
ধর্ম ডেস্ক: হজ ও ওমরা পালনকারীরা মহান আল্লাহর মেহমান। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও ওমরাকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে চেয়েছেন এবং তিনি তাদের দিয়েছেন ইবনে মাজা। হজের উদ্দেশে বের হলে প্রতি কদমে নেকি লেখা হয়, গোনাহ মাফ করা হয় এবং তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি যখন বায়তুল্লাহর উদ্দেশে আপন ঘর থেকে বের হবে, তোমার বাহনের প্রত্যেকবার মাটিতে পা রাখা এবং পা তোলার বিনিময়ে তোমার জন্য একটি করে নেকি লেখা হবে এবং তোমার গোনাহ মাফ করা হবে তাবরানি। হজ এমন এক মহান ইবাদত, যার মাধ্যমে অতীতের সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। একজন হাজি সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ করল, যৌন সম্পর্কযুক্ত অশ্লীল কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকল এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকল, সে তার মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনের মতো পবিত্র হয়ে ফিরে এলো বুখারি ও মুসলিম। শুধু তাই নয়, হজের নিয়তে বেরিয়ে মারা গেলেও হজের সওয়াব হতে থাকে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশে বের হলো, এরপর সে মারা গেল, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হজের নেকি লেখা হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি ওমরার উদ্দেশে বের হয়ে মারা যাবে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ওমরার নেকি লেখা হতে থাকবে তারগিব ওয়াত-তারহিব। হজে শুধু পরকালীন নয় ইহকালীন কল্যাণও হাসিল হয়। হজ ও ওমরা পাপ মোচনের পাশাপাশি হজকারী ও ওমরাকারীর অভাব-অনটনও দূর করে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা হজ ও ওমরা পরপর করতে থাকো, কেননা তা অভাব ও গোনাহ দূর করে দেয়, যেমন দূর করে দেয় কামারের হাপর লোহা, সোনা ও রুপার ময়লাকে (তিরমিজি)। অতএব, এমন কল্যাণ পেতে যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে বিলম্ব না করে এখনই হজের প্রস্তুতি নিন।