সৃষ্টির সেবা ইসলামের প্রেরণা
- আপলোড টাইম : ০৮:১৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: বিশ্বজগতের সবকিছু মহান আল্লাহর সৃষ্টি। তার সৃষ্টির মধ্যে একমাত্র মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং একমাত্র তার প্রতিনিধি। অন্যসব সৃষ্টিকে মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের পরস্পরের প্রতি যেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তেমনি অন্যান্য সৃষ্টির প্রতিও মানুষের দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। তাই সৃষ্টির সেবায় যতœবান হওয়া একান্ত কর্তব্য। সৃষ্টির সেবা মহান আল্লাহর করুণা লাভের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর রহম (দয়া) করে না।’ হাদিসে আছে, সেই ব্যক্তি প্রকৃত ইমানদার নয়, যে নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করে না। খেদমতে খালক দ্বারা সদকা সমপরিমাণ পুণ্য লাভ করা যায়। শুধু মানুষই নয়, যে কোনো প্রাণীর ওপর করুণা করলে এর প্রতিদান মিলবে। সৃষ্টির সেবার মাধ্যমেই মানুষের পারস্পরিক অধিকার আদায় হয়। এর দ্বারা সাম্য সৃষ্টি, হয়। হাদিসে আছে, মানুষ যতক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করে আল্লাহ তায়ালা ততক্ষণ তার ওপর সন্তুষ্ট থাকেন। পৃথিবীর সব মানুষ একই আদমের সন্তান। এ জন্য সবার মধ্যে সাম্য ও সমতা থাকা চাই। অন্যের সুখে-দুঃখে সবাই এগিয়ে এলেই সমাজে তা প্রতিষ্ঠিত হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা, সেবা-শুশ্রƒষা, অধিকারগুলো আদায় এবং সবার সুখ-শান্তির দিকে আন্তরিক দৃষ্টি রাখাই হলো সৃষ্টির প্রতি দায়বদ্ধতা। ইসলাম সেই তাগিদই দিয়েছে। মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সৃষ্টির প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়ালু। তার কাছে প্রতিটি সৃষ্টি আশ্রয় পেত। এমনকি জীবজন্তু পর্যন্ত তার আশ্রয়ে আশ্রিত হয়েছে। তিনি মানুষের সেবায় সারা জীবন ব্যয় করেছেন। গোটা মানবজাতি যেন সফল হয় সে চেষ্টা তার সবসময় ছিল। সব প্রাণীর জন্য পৃথিবীটা যেন শান্তিময় হয় সে ব্যবস্থাপনা তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। ইসলামী আদর্শে যারা আদর্শবান, তাদের প্রতিটি মুহূর্তেই সৃষ্টির সেবার মানসিকতা পোষণ করতে হবে। যে কোনো প্রাণীর সেবা-শুশ্রƒষা মানুষকে মানবিকতার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ইসলামের চোখে সেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ইসলামের তাগিদ হলো সেবক হওয়া, যথাসম্ভব সেবা গ্রহণকারী না হওয়া। কারণ সেবা গ্রহণকারীর চেয়ে সেবকের মর্যাদা বেশি।