নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রেজাউল হক ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ……. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। সদালাপী মিষ্টভাষী এই শিক্ষা অফিসার বসবাস করতেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাসপাতাল পাড়ায়। মৃতকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন দুলু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। বড় ছেলে রাসেল ব্যবাসায়ী, মেজো ছেলে হাসান মাহমুদ রানা আমেরিকাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, সেজো ছেলে রাজীব ঢাকায় হেলথ কেয়ারে চাকুরী করে ও ছোট ছেলে সজীব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ২০০৯ সালে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার হিসাবে রেজাউল হক অবসরে যান। বর্তমানে তিনি কমলাপুর পিটিআইতে রিসোর্স পারসন হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তিনি স্কাউট এর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যশোর যান। যশোরে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বুকে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে জ্ঞান হারান। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর সংবাদে সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালপাড়ার বাড়িতে ভীড় করেন অসংখ্য শুভাকাঙ্খী। নিহতের নিকট আতœীয় ৪নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান- লাশ দুই দিন পর দাফন করা হবে, তাই মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আগমাীকাল রবিবার বাদ যোহর মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে প্রভাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বেলগাছি মাদ্রাসা মাঠে। পরে বেলগাছী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করে হবে। নামাজে জানাযায় সকলকে শরিক হবার আহবান জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা।