
সমীকরণ প্রতিবেদন:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের সরকার না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেয়। দেশে সঠিক কথা বলা যাবে না। খবরের কাগজে, টিভিতে দুর্নীতি অনিয়মের খবর প্রচার করলে সরকার মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে তাদের বানানো কালা আইনে জড়িয়ে দেয়। সরকার মিডিয়া কর্মীদের হয়রানি করছে। শুক্রবার রাতে লালমনিহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জাতীয় যুব সংহতির সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তার স্ত্রী লালমনিহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপিসহ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশে এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি, স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। দেশ আমাদের। দেশকে রক্ষায় প্রয়োজনে আরও একটা যুদ্ধ করতে হবে। সরকার এখন তার দলীয় লোকদের তাজা করছে।
ক্ষমতায় থাকার জন্য কামড়া-কামড়ি করছে। নিয়মমতো ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাচ্ছে না। ভয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা না ছাড়লে সে দেশকে কখনো গণতান্ত্রিক দেশ বলা যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ আছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেটাই সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশ। আর যারা এই পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর না করে তারা কখনো গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারত ও ইংল্যান্ডকে বলেন। জিএম কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে এমন অবস্থা জারি করেছে কারও সঙ্গে কথা বলা যাবে না। দেশে এখন অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। সরকার টেন্ডারের নামে লুটপাট করছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন সার্ভে করেছে। তারা দেখেছে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ কাকে ভোট দেবে তা জানেন না। দেশে আইনশৃঙ্খলা তো নাই বললেই চলে। সরকার শুধু নুর হোসেন ও ডা. মিলন হত্যার ব্যাপারে জাপাকে দোষারোপ করে। কিন্তু এর পেছনে এরশাদের দোষ নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একদিনে ২২ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারা মানুষ হত্যা করলে কোনো প্রতিবাদ করা যাবে না। দেশে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শান্তি ফিরে আসবে না বলেও মন্তব্য করেন জিএম কাদের।