নিজ অর্থায়নে পৌর নাগরিকদের চাওয়া পূরণ করলেন মেয়র আশরাফ
রিয়াজ মোল্যা, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নিজ সম্মানি ভাতার টাকা দিয়ে পৌর নাগরিকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ করলেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর এলাকার ঈশ্বরবা মৌজায় প্রতি শতক সাড়ে ৮ হাজার টাকা দরে মোট ৫৭ শতক জমি সম্মানি ভাতা জমানো ৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনে পৌরবাসীর কল্যাণে দান করলেন। আরও ২৯ শতক জমি পরে কিনবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন চরম বিপাকে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, কালীগঞ্জ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। ফলে তাঁরা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখতে বাধ্য হন। এতে শহরের মধ্যে দুর্গন্ধ মাড়িয়ে সবাইকে চলতে হতো। শহরময় রোগ জীবাণুর ছড়াছড়ি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করে পরিচ্ছন্ন পৌর এলাকা গড়তে তিনি অনেকবার চেষ্টা করেও পৌরসভার আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় সফল হননি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার নিজ ভাতার জমানো ৪ লাখ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে ৫৭ শতক জমি কিনে পৌরবাসীর কল্যাণে পৌরসভায় দান করেছেন। পৌরসভা শুধু রেজিস্ট্রি খরচ দিয়েছে। নর্দমার জন্য পাশে আরও ২৯ শতক জমি আছে, সে জমির মালিকেরাও একই দামে দিতে রাজি হয়েছেন। যা পরে সম্মানি ভাতা জমিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন বলে যোগ করেন পৌর মেয়র আশরাফ।
পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আরও জানান, ‘পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর একটি পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ময়লা নিষ্কাষনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। পৌরসভার আর্থিক সামর্থও নেই। যে কারণে নিজের সম্মানি ভাতার টাকা জমিয়ে জমি কিনে পৌরসভার নামে দান করেছি।’ তিনি আরও বলেন, নিজের সংসারেও অভাব আছে। তবুও নিজের নামটা পৌরসভার সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে তিনি এ কাজটি করেছেন। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী জানান, পৌর মেয়রের এ দান অবশ্যই পরিচ্ছন্ন পৌর এলাকা গড়তে কাজে আসবে। তিনি বলেন, এটা একটা অনন্য দান।