চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইল চুরিকালে শিশু আটক
রুদ্র রাসেল:
করোনাকালে বিশ্বের বহু দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর। এসব শিশুদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে উল্লেখযোগ্য হারে সহায়তা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে ইউনিসেফ। এর আওতায় স্কুলগুলোকে নিরাপদ রাখার পদক্ষেপও নেওয়া হবে। এই নজিরবিহীন পরিস্থিতে শিশুরা যেন বাড়িতেই বিভিন্ন বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে পারে এবং এই জরুরি অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব যেন শিশু ও সমাজের উপর না পড়ে, সেজন্য আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যান্য দেশের জরুরি অবস্থার অভিজ্ঞতার থেকে দেখা যায়, শিশুরা যত বেশি সময় স্কুল থেকে দূরে থাকে, তাদের স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততটাই কমে যায়। মনে করুন আপনি পত্রিকায় একটি সংবাদ পড়ছেন। সংবাদটি এমন, ‘গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে একজন সেবিকার ব্যাগ হতে মোবাইল নিয়ে পালানোর সময় একটি শিশুকে আটক করেছে জনগণ। শিশুটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আর সেই শিশুটিই যদি হয় আপনার সন্তান। সংবাদটি আপনার জন্য নিশ্চয় সুখকর হবে না।’ তাই আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ সন্তানের ওপর বিশেষ খেয়াল রাখা। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়ায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা এবং এ অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব যেন শিশু ও সমাজের উপর না পড়ে সেজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঠিক এমনই এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজন মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় শিশুটিকে ধরে ফেলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে সদর থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বয়স মাত্র ৯ বছর হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কর্তপক্ষ শিশুটিকে তার অভিভাবকদের জিম্মায় দিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, ‘নয় বছর বয়স শিশুদের খেলাধুলা করার বয়স। হাসপাতাল থেকে যে শিশুটিকে লোকজন আটক করেছে। তাকে তল্লাশি করে দুই পকেট ৯২০ টাকা পাওয়া যায়। পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে তাঁর অভিভাবকদের নিকট তুলে দেওয়া হবে।’
চুয়াডাঙ্গার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নেফাউল হাসান রাসেল জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে একজন নার্সের মোবাইল নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় কয়েকজন একটি শিশুকে ধরে ফেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে আমি সেখানে যায়। পরে শিশুটিকে তার অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’
চুয়াঙ্গাডা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একজন সেবিকার ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরি করে দৌঁড়ে পালানোর সময় জনগণের হাতে আটক হয় একটি শিশু। শিশুটির বয়স মাত্র ৯ বছর। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ঘটনার পর ওই শিশুর অভিভাবকদের ডাকা হলে শিশুটির মা ও বোন থানায় আসেন। পরে শিশুটির লেখাপড়ার বিষয়ে নজর দিবেন এই অঙ্গীকারে শিশুটিকে তাঁরা আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন মাঝেমধ্যেই আমরা শিশুটির লেখাপড়াসহ যাবতীয় খবরাখবর নেব।’