বিশ্ব ডেস্ক: রোববার কুয়েতের জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আমির শেখ সাবাদ আল-আহমাদ আল-সাবাহ। আঞ্চলিক পরিস্থিতি ও ‘নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জে’র কারণে সংসদে নতুন প্রতিনিধিদের প্রয়োজন বলেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ নির্দেশ দিয়ে জারি করা হয়েছে এক প্রজ্ঞাপন। কুয়েতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কুনা প্রকাশ করেছে ওই প্রজ্ঞাপন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, কুনাতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। দেশটিতে এখন সাংবিধানিক শাসকের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। কুনাতে বলা হয়েছে, আমির আল-সাবাহের জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ও ঝুঁকির এই মুহূর্তে প্রয়োজন কর্তৃত্বের উৎস জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, যারা নিজেদের পথ চলার নির্দেশনা, লক্ষ্য ও মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিনিধিদের পছন্দ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত কুয়েতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে উন্মুক্ত। ২০১১ সাল থেকে আরব বিশ্বের অনেক দেশেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক দেশেই ক্ষমতাসীনরা উৎখাত হয়েছেন। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি কুয়েতে। তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিতে অন্যতম শীর্ষ এই দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ঐতিহ্যগতভাবে সরকার ও সংসদের মধ্যেকার সহায়তার ওপরেই নির্ভর করেছে। কুয়েতের আইনসভাও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং শক্তিশালী। সর্বশেষ ২০১৩ সালে কুয়েক জাতীয় সংসদের নির্বাচনে উদারপন্থিদের পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক উপজাতীয় নেতারাও জয়লাভ করেছেন। বিরোধী জনপ্রিয় ইসলামপন্থিরা ওই নির্বাচন বর্জন করে।