নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি এমন দুজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে একটি মহল তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজন একাত্তর সালে স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বেগ তুলে ধরতে আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের স্বাধীনতাবিরোধী মইজুদ্দিন বিশ্বাস ১৯৭১ সালে নিহত হন। মইজুদ্দিনের এক ছেলে নৌবাহিনীতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানাতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। যাচাই-বাছাইকালে উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের টেকপাড়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন ১৭ মে মইজুদ্দিনের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মইজুদ্দিনকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানাতে জামাল উদ্দিন নানা রকমের মিথ্যাচার করছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আলমডাঙ্গা শহরের চিকিৎসক আবু মোহাম্মদ জহুরুলও অমুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু জালজালিয়াতির মাধ্যমে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগীয় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কমান্ডার শফিউর বলেন, এসব অশুভ তৎপরতায় জড়িত ব্যক্তিদের তদন্তের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এতে জড়িত থাকায় মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাতিলেরও দাবি জানান তিনি। অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা জাসদের সভাপতি ও একাত্তর সালের গেরিলা কমান্ডার এম সবেদ আলী বলেন, মইজুদ্দিন ও আবু মোহাম্মদ জহুরুল কেউই মুক্তিযোদ্ধা নন।