
সমীকরণ প্রতিবেদক:
খাদ্যগুদামের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্টেন্সিল সিল মারা ছাড়া শ্রমিকদের ৯টি বিল তোলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এর মধ্যে স্টেন্সিল সিল ও চারটি বিলের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এর প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ রেখেছিলেন শ্রমিকেরা। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদের কাজ করতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার খাদ্যগুদাম থেকে ওএমএসের ময়দার তৈরিতে গম ট্রাকে তোলা হচ্ছে অটো ফ্লাওয়ার মিলে পাঠানোর জন্য। অপরদিকে একটি ট্রাক মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আনলোড করার জন্য। কিন্তু শ্রমিকেরা বিল না পাওয়ায় ট্রাক আনলোড করতে নারাজ ছিল। তবে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) তাদের হুমকি দিয়ে জোর করেই কাজ করিয়ে নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘জেলা খাদ্য অফিসার আমাদের অফিসে ডেকে ৫টি বিল দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ৯টি বিল পাওনা ছিল। তবে তিনি বলছেন সব বিল পরিশোধ। স্টেন্সিল মারার কোনো টাকা আমাদের দেয়নি।’ জানা গেছে, এসব বিলের টাকা সংশ্লিষ্ট খাদ্য পরিদর্শকের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। কিন্তু বিল দেয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে। শ্রমিকেরা মেহেরপুর অফিস থেকেই তাদের টাকা নিয়েছিলেন।
শ্রমিকের কয়টি বিল এবং কত টাকা তা জানতে চাইলে সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক আহসান কবীর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সব টাকার হিসাব ডিসি ফুড স্যার জানেন। আমার এখানে কোনো হিসাব নেই। জেলা অফিসে গিয়ে খোঁজ নেন, তাহলেই সব পাবেন।’ একই বিষয়ে গাংনীর খাদ্য পরিদর্শক হাসান সাব্বীর বলেন, ‘স্টেন্সিল মারা ও শ্রমিকদের কত টাকা বিল তার কিছুই আমি জানি না। শ্রমিকেরা মেহেরপুর গিয়ে জেলা অফিস থেকে বিল নিয়ে এসেছেন।’
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট খাদ্য পরিদর্শকদের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিল দেওয়া হয়েছে। সব বিলই দেওয়া হয়েছে।’ তবে শ্রমিকদের স্টেন্সিল মারা বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসাব করে বলতে সময় লাগবে। কিন্তু কত সময় বা কত দিন লাগবে, তা তিনি জানাতে পারেননি।’