সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানাধীন নতুন হাউলী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট হাজির হয়ে জানান যে, তার একমাত্র পুত্র মো. রাহাদ আলী (১২), দামুড়হুদা দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গত ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টা সময় মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রদের সাথে ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজ মাঠে খেলাধুলা করতে যায়। মাদ্রাসার সকল ছাত্র খেলাধুলা শেষে ফিরে আসলেও তার ছেলে রাহাদ আলী মাদ্রাসায় ফিরে আসেনি। ঘটনার সংবাদ শুনে নিখোঁজ রাহাদ আলীর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় ছুটে এসে ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেসময় কেউ কোনো সদুত্তোর দিতে পারে না। পরবর্তীতে দামুড়হুদা মডেল থানায় ছেলে হারানো ঘটনা সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে নিখোঁজ রাহাদ আলীর পিতা। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার বিবরণ শুনে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (বিপিএম-সেবা) তাৎক্ষণিকভাবে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলকে দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাসের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের একটি বিশেষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন নূরনগর কলোনীপাড়া থেকে সুস্থ অবস্থায় নিখোঁজ রাহাদ আলীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র রাহাদ আলীকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় রাহাদ আলীর পরিবারের সদস্যরা আনন্দে আবেগে-আপ্লুত হয়ে পড়ে। এসময় নিখোঁজ রাহাদ আলীর পরিবার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভুলিনি।