নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্ত্বরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশিং কমিটির আহবায়ক এসএম ইস্রাফিলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগর টগর এমপি। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদায়ী পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের উপর দায়িত্ব রয়েছে। দেশের পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণের সেবা করা, সেই লক্ষ্যে পুলিশিং কমিটি গঠিত হয়েছে। সন্ত্রাস, চুরি ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ সকল অপকর্ম বন্ধ করতে জনগণের একান্ত সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন পুলিশের। কোন সন্ত্রাসী ও মাদকব্যবসায়ীদের পুলিশিং কমিটিতে না রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
বিদায়ী পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেন, আমরা প্রতিদিন জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। সকল থানাকে দালালমুক্ত করে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া তিনি সবার কাছ থেকে বিদায় চেয়ে নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আনজুমান আরা বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসলে সমাজ থেকে অপরাধ কমানো সম্ভব। পুলিশিং কমিটির কেউ ঘুষ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, নিরাপদ বসবাসের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার সর্বদা জনগণের পাশে ছিলো এবং আগামীতেও থাকবে। কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম এই সরকারের অবদান।
মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, অপরাধ দমনের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মাঝে নিরাপত্তার অভাব পূরণে সহায়ক হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে উপস্থাপনার মাঝে মাঝে উল্লেখ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশিং কমিটির আহবায়ক সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংকে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনের কাজে লাগানোই মূল উদ্দেশ্য। তিনি সকলকে অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. শামসুজ্জোহা, সহকারী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাইফ, প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা বক্তব্য রাখেন। জেলা, থানা, পৌর এবং ইউপি পুলিশিং কমিটির নূন্যতম সদস্যসহ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা চেয়ারম্যান সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিদায়ী পুলিশ সুপারকে সম্মননা স্মারক এবং জেলা পুলিশিং কমিটির পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক কিশোর কুমার কুন্ডুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলো। অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন জেলা পুলিশিং কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও তার সফল সমন্বয়ের ফলে অনুষ্ঠানটি আরো বেশি স্বার্থক হয়ে ওঠে।