শিকড় গাড়ছে আইএস!

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাংলাদেশে শিকড় গাড়ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির এক প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়েছে। এনবিসি একটি মানচিত্রের মাধ্যমে কোন কোন দেশে আইএস বিস্তার লাভ করছে, সেসংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেছে। এনবিসির এই সংবাদের উৎস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের একটি গোপন নথি। এই নথিটি তৈরি করেছে দেশটির ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথিতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী যখন জঙ্গিদের ধ্বংস করার প্রচার শুরু করে, তখন আইএস মাত্র সাতটি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৩-তে দাঁড়ায়। আর ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টারের নথিতে জঙ্গিদের কার্যক্রম পরিচালনার সর্বশেষ মানচিত্রে দেখা গেছে, ১৮টি দেশে আইএস পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অবশ্য এই ১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালি, ফিলিপাইন ও সোমালিয়ায় আইএস শিকড় গাড়ছে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আইএস তাদের যোদ্ধাদের পাঠিয়েছে। এনবিসি নিউজের সন্ত্রাসবাদবিষয়ক বিশ্লেষক ম্যাককলাম ন্যান্সি বলেন, মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসকে দমনে যুক্তরাষ্ট্র সাফল্য দেখাচ্ছে। তবে নতুন নতুন দেশে আইএস তাদের শিকড় গাড়ছে ও হামলা চালাচ্ছে। আইএসবিরোধী যুদ্ধক্ষেত্রটা তাই ক্রমশ বড় হচ্ছে। এদিকে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পরপর দুটো জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আবার আশ্বস্ত করতে সরকারকে তা মোকাবেলায় ‘সম্পূর্ণ’ মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স বার্নিকাট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি পরামর্শ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আবার আশ্বস্ত করতে সরকারকে কাজ করতে হবে। সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, তারা কারখানাগুলো এবং ব্যক্তির যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের কর্যক্রম হাতে নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো হামলার পর সরকারের কাছ থেকে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য বার্তা প্রেরণ যা জনগণকে আবার আশ্বস্ত করবে এবং নতুন ধরনের এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সরকারের স্পষ্ট ও সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। কেননা আরো বিনিয়োগ আনতে এবং মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’