দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ-ডে উদ্যাপনের নামে নগ্নতা, ডিজে পার্টি, অশ্লীলতা, নগ্নতা, কুরুচিপূর্ণ অবৈধ ও নিষ্ঠুর কর্মকা- আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে র্যাগ-ডে’র নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, উদ্দাম নৃত্য, বুলিং, অশ্লীলতা, নগ্নতা বন্ধে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, তথ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা, জাতীয়, জাহাঙ্গীনগর, খুলনা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী কামরুল হাসান বলেন, শুনানিকালে আদালত বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ-ডে উদযাপনের নামে নগ্নতার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। আদালত ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন এগুলো কিভাবে চলছে। তিনি বলেন, এতে শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোরদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। এই অপসংস্কৃতি যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেবে। এটা সামাজিক অবক্ষয়। গত ৭ এপ্রিল আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন। রিটের আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র প্রচারিত হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে র্যাগ-ডে’র নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক জীবনমান ও সুকুমার বৃত্তি সৃজনের কারিগর হওয়ার কথা সেখানে আজ সেই শিক্ষা প্রশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তাদের উপস্থিতিতে চরম নৈতিক অবক্ষয়মূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা নিজের অজান্তে নৈতিক অধঃপতনে নিমজ্জিত হচ্ছে।