কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ফাতেমার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ ফাঁস হয়ে পড়েছে। এই জাল সনদ দেখিয়ে তিনি তিনটি কলেজে চাকরি করেছেন বলে অভিযোগ। বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ওয়েবসাইডে গত ১৭ সেপ্টম্বর ১৬২১নং স্মারকে জাল এবং আসল সনদধারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (পমূপ্র) ফিরোজ আহম্মেদ সাক্ষরিত শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আব্দুল লতিফের কন্যা ফতেমা খাতুনের স্থলে নিজের নাম বসিয়ে কালীগঞ্জের ইয়াকুব আলীর কন্যা ফাতেমা খাতুন ২০১২ সালের ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদ তৈরী করেন। নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আসল ফাতেমা খাতুনের রেজি: নং হচ্ছে-২০১২৮২৩০১৩। অন্যদিকে, কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা খাতুনের রেজি: নং হচ্ছে-২২১২৮২১২০২। এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে মন্তব্য করা হয়েছে সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নাম্বারটি অন্য ব্যক্তির। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জের ইয়াকুব আলীর কন্যা ফাতেমা খাতুন ২০১২ সালের ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদ নিয়ে প্রথমে যশোরের একটি কলেজে চাকরি করতেন। সেখান থেকে ইনডেক্স নিয়ে কালীগঞ্জ শহীদ নুর আলী কলেজে যোগদান করেন। এই জাল সনদের বুনিয়াদেই তিনি সরকারি বেতন ভাতা গ্রহণ করতে থাকেন। কালীগঞ্জের মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজটি সরকারি করণের প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি তড়িঘড়ি করে এখানে যোগদান করেন। ফাতেমা খাতুন এখন সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (পমূপ্র) ফিরোজ আহম্মেদ সাক্ষরিত চিঠিতে বর্ণিত সনদধারী ব্যক্তি জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দালিলিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত জাল ও ভূয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করতে সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এখনো বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ’র এ সংক্রান্ত চিঠি পায়নি। চিঠি পেলে নির্দেশমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।