ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান। নিজেকে আল্লাহ্র কাছে সমর্পণ করে দিয়ে সমস্বরে হাজিরা উচ্চারণ করলেন- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ- হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই। ২০ লক্ষাধিক হাজির এই ধ্বনিতে গতকাল প্রকম্পিত হলো আরাফাতের ময়দান। রোববার সন্ধ্যার ভারি বর্ষণ ও বজ্রপাতকে উপেক্ষা করে হাজিরা ছুটে যান আরাফাতের ময়দানে। কর্তৃপক্ষ সেখানে আগে থেকেই বন্যার সতর্কতা দিয়েছিল। তবে কোনো কিছুই তাদের থামাতে পারে নি। ভারি বর্ষণের পর পবিত্র আরাফাতের ময়দানে নেমে আসে স্বস্তির ঠান্ডা। এই সেই ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান যেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৪০০ বছর আগে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এসময় তিনি বিশ্ববাসীর জন্য রেখে যান দিকনির্দেশনা। আর তারই মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় ইসলাম। এই আরাফাতের ময়দানেই রয়েছে ঐতিহাসিক জাবাল আল রাহমা বা মাউন্ট অব মার্সি হিসেবে পরিচিত পাহাড়। গতকাল সারাদিন সেখানে আল্লাহর কাছে পানাহ বা গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হজযাত্রীরা। করুণার পাহাড় বা জাবাল আল রাহমায় গতকাল সকাল থেকেই আরোহণ করতে থাকেন তারা। সেখানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল হয়ে পড়েন অনেকে। পাহাড়ের পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে, বসে প্রার্থনায় অংশ নেন তারা। এ সময় আকাশ থেকে নিরাপত্তায় নজরদারি করা হয় হেলিকপ্টারে। সেলাইবিহীন সাদা দু-টুকরো কাপড়ে শরীর ঢেকে হাজির হন তারা। ফলে পুরো আরাফাতের ময়দান যেন এক সফেদ সমুদ্রে পরিণত হয়। গতকাল ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার বা ৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন হজ করতে যাওয়া হজযাত্রীরা। আরাফাতের ময়দানে গতকাল সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অগাস্ট ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান। নিজেকে আল্লাহ্র কাছে সমর্পণ করে দিয়ে সমস্বরে হাজিরা উচ্চারণ করলেন- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ- হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই। ২০ লক্ষাধিক হাজির এই ধ্বনিতে গতকাল প্রকম্পিত হলো আরাফাতের ময়দান। রোববার সন্ধ্যার ভারি বর্ষণ ও বজ্রপাতকে উপেক্ষা করে হাজিরা ছুটে যান আরাফাতের ময়দানে। কর্তৃপক্ষ সেখানে আগে থেকেই বন্যার সতর্কতা দিয়েছিল। তবে কোনো কিছুই তাদের থামাতে পারে নি। ভারি বর্ষণের পর পবিত্র আরাফাতের ময়দানে নেমে আসে স্বস্তির ঠান্ডা। এই সেই ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান যেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৪০০ বছর আগে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এসময় তিনি বিশ্ববাসীর জন্য রেখে যান দিকনির্দেশনা। আর তারই মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় ইসলাম। এই আরাফাতের ময়দানেই রয়েছে ঐতিহাসিক জাবাল আল রাহমা বা মাউন্ট অব মার্সি হিসেবে পরিচিত পাহাড়। গতকাল সারাদিন সেখানে আল্লাহর কাছে পানাহ বা গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হজযাত্রীরা। করুণার পাহাড় বা জাবাল আল রাহমায় গতকাল সকাল থেকেই আরোহণ করতে থাকেন তারা। সেখানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল হয়ে পড়েন অনেকে। পাহাড়ের পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে, বসে প্রার্থনায় অংশ নেন তারা। এ সময় আকাশ থেকে নিরাপত্তায় নজরদারি করা হয় হেলিকপ্টারে। সেলাইবিহীন সাদা দু-টুকরো কাপড়ে শরীর ঢেকে হাজির হন তারা। ফলে পুরো আরাফাতের ময়দান যেন এক সফেদ সমুদ্রে পরিণত হয়। গতকাল ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার বা ৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন হজ করতে যাওয়া হজযাত্রীরা। আরাফাতের ময়দানে গতকাল সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা।