লজ্জাশীলতা বয়ে আনে কল্যাণ
- আপলোড টাইম : ১১:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: ঈমানদারের অন্যতম গুণ হচ্ছে লজ্জাশীলতা। প্রকৃত মুমিন কখনো নির্লজ্জ হতে পারে না। এই গুণটি যার মধ্যে অনুপস্থিত তার পক্ষে যে কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে দেয়া সম্ভব। লজ্জা মানুষকে অনেক অন্যায়-অপকর্ম থেকে বাঁচিয়ে রাখে। একাধিক হাদিসে রাসূল (সা.) এ গুণের প্রশংসা করেছেন এবং তিনি নিজেও লজ্জাশীল ব্যক্তি ও তার সমাজের জন্য কল্যাণের দুআ করেছেন। হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) পর্দাশীন মেয়েদের চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। যখন কোনো কথা তার কাছে অপছন্দ বলে মনে হতো, তখন তার চেহারা দেখেই তা উপলব্ধি করা যেত। রাসূল সা. বলেন, ‘লজ্জা নিতান্তই কল্যাণ বয়ে আনে।’ লজ্জাকে হাদিসে ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রকৃত মুসলমান লজ্জাশীল, ভদ্র, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, বিনয়ী, সুস্থ ও বিবেকবান হয়ে থাকে। তার থেকে মানুষের কষ্টদায়ক কোনো কাজ প্রকাশ পায় না এবং কারো অধিকার আদায়ে সে ত্রুটি করে না। কেননা লজ্জার গুণটি তাকে এসব কাজ থেকে বিরত রাখে। বিরত রাখে মানুষের ভয়ে নয় বরং আল্লাহর থেকে লজ্জা-শরমের কারণে এবং এ ভয়ে যে, কোথাও যেন তার ঈমানের ওপর জুলুমের ছোঁয়া না লেগে যায়। লজ্জা এমন একটি ভুষণ, যার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো ভুষণ আর নেই। আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনার ফলে মুসলমানের সব চরিত্র-বৈশিষ্ট্যে গভীর ইখলাস ও নিষ্ঠা পাওয়া যায়। আর এটাই মুসলমানকে অন্যদের থেকে স্বাতন্ত্র্য দান করে। মুসলমানের ঈমানি আদর্শে কখনো ভাটা পড়ে না। কেননা ঈমান এমন এক জিন্দা ও শাণিত অন্তর থেকে প্রকাশিত হয়, যার কারণে খেয়ানত ও র্দুর্নীতি করতে গেলে লজ্জা বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং তার বাহ্যিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত মানুষের থেকে লজ্জাবোধ হওয়ার আগে আল্লাহর প্রতি লজ্জাবোধ হয়। কারণ আল্লাহ সব গোপনীয়তা সম্পর্কে সম্যক অবগত। মানুষ যে কোনো অবস্থায় থাকুক আল্লাহ তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন এই বিশ্বাস টুকু থাকলে তার মধ্যে আল্লাহর প্রতি লজ্জা জš§াবে। যে কোনো অন্যায়-অনাচার করতে গেলে আল্লাহকে লজ্জা পাবে। যিনি আল্লাহকে লজ্জা পাবেন তার দ্বারা অতি নীরবে-নিভৃতেও অন্যায় ও গোনাহের কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য মুমিনের মধ্যে লজ্জা গুণটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ গুণের কারণেই মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়।