ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সৎকার সম্পন্ন স্বামী পরকীয়ার কারনেই খুন হয় লক্ষ্মীরানী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

IMG_20130110_043505-1নিজস্ব প্রতিবেদক: মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত নারীর লাশ আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নিখোঁজ গৃহবধূ লক্ষীরানীর লাশ হিসেবে সনাক্ত করেছে তার পিতা গোরাঙ্গ দাস। গতকাল দুপুরে লক্ষীরানীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সংলগ্ন শ্মশানে বিকাল ৩টায় সৎকার সম্পন্ন করা হয়। লক্ষীরানীর পিতা গোরাঙ্গ দাস লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনী, দেবর শূন্যরাম পাটনী ও তার স্ত্রী গীতারানীকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করলে গোয়ালবাড়ী খেয়াঘাটের পাটনী দুখু রামের নিখোঁজ স্ত্রী লক্ষীরানীর লাশ বলে পাবনা থেকে এস সনাক্ত করে তার পিতা গোরাঙ্গ দাস। অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের পর থেকে ৯দিন যাবত নিখোঁজ গৃহবধূ লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনী, দেবর শূন্যরাম পাটনী ও তার স্ত্রী গীতারানী গা’ঢাকা দিলে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর তাদের ওপর পড়ে। এখনো পর্যন্ত লক্ষীরানীর স্বামীর পরিবারের কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ। এবিষয়ে লক্ষীরানীর পিতা ও এলাকাবাসীকে বলতে শোনা যায়, লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনীর সাথে তার ছোট ভাইয়ের বৌ গীতারানীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা লক্ষীরানী জেনে গেলে তাকে গভীর রাতে হত্যা করে মাথাভাঙ্গা নদীতে ইট চাঁপা দিয়ে নদীতে লাশ কোন খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হলে গত শনিবার মৃতদেহ ফুলে ফেপে ভেসে উঠলে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে এবিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। লক্ষীরানী দু’সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

লক্ষ্মীপুরের গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সৎকার সম্পন্ন স্বামী পরকীয়ার কারনেই খুন হয় লক্ষ্মীরানী

আপলোড টাইম : ০১:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭

IMG_20130110_043505-1নিজস্ব প্রতিবেদক: মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত নারীর লাশ আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নিখোঁজ গৃহবধূ লক্ষীরানীর লাশ হিসেবে সনাক্ত করেছে তার পিতা গোরাঙ্গ দাস। গতকাল দুপুরে লক্ষীরানীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সংলগ্ন শ্মশানে বিকাল ৩টায় সৎকার সম্পন্ন করা হয়। লক্ষীরানীর পিতা গোরাঙ্গ দাস লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনী, দেবর শূন্যরাম পাটনী ও তার স্ত্রী গীতারানীকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করলে গোয়ালবাড়ী খেয়াঘাটের পাটনী দুখু রামের নিখোঁজ স্ত্রী লক্ষীরানীর লাশ বলে পাবনা থেকে এস সনাক্ত করে তার পিতা গোরাঙ্গ দাস। অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের পর থেকে ৯দিন যাবত নিখোঁজ গৃহবধূ লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনী, দেবর শূন্যরাম পাটনী ও তার স্ত্রী গীতারানী গা’ঢাকা দিলে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর তাদের ওপর পড়ে। এখনো পর্যন্ত লক্ষীরানীর স্বামীর পরিবারের কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ। এবিষয়ে লক্ষীরানীর পিতা ও এলাকাবাসীকে বলতে শোনা যায়, লক্ষীরানীর স্বামী দুখুরাম পাটনীর সাথে তার ছোট ভাইয়ের বৌ গীতারানীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা লক্ষীরানী জেনে গেলে তাকে গভীর রাতে হত্যা করে মাথাভাঙ্গা নদীতে ইট চাঁপা দিয়ে নদীতে লাশ কোন খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হলে গত শনিবার মৃতদেহ ফুলে ফেপে ভেসে উঠলে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে এবিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। লক্ষীরানী দু’সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।