আজ খুলছে শপিং মল, দোকান, লাগবে মুভমেন্ট পাস বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকামুখি মানুষ
সমীকরণ প্রতিবেদক:
লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে চালু হচ্ছে শপিং মল, দোকানসহ সব বিপণিবিতান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোকান খুললেও মানুষের চলাচলে লাগবে মুভমেন্ট পাস। গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণার পরপরই রাজধানীসহ সারা দেশেই দোকান, মার্কেট খুলতে শুরু করেছে। সবকিছুই আগের মতো স্বাভাবিকতায় ফিরছে। অবশ্য গণপরিবহন চলাচল ও বড় বড় শপিং মল এখনো বন্ধ রয়েছে। এ দিকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে- এমন খবরে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো, হায়েস, সিএনজি, অটোরিকশা ভাড়া করে মানুষ আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
খুলছে শপিং মল, দোকানপাট : চলাচল নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও আজ থেকে জেলার সব শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এসব খোলা রাখা যাবে। তবে মার্কেটে যেতে ক্রেতাদের নিতে হবে মুভমেন্ট পাস। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা আসে। দেওয়া হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সব পণ্যের দোকান ও শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ। পরে তা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাজধানীর বড় বড় শপিং মল, মার্কেট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতি কমাতে ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানান। সরকার তাদের দাবির মুখে সীমিত আকারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শপিং স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে মুখে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মানতে হবে। ক্রেতাদেরও সব ধরনের নিয়ম মেনে কেনাকাটা করতে হবে। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেনাকাটা করতে গেলে সবাইকে মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। আগামী দুই দিন সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এই দুই দিনের জন্য মুভমেন্ট পাস ব্যবহার করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা:
লকডাউনের কারণে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ছুটছেন মানুষ। মুভমেন্ট পাস নিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ পণ্য পরিহন ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সে চালকের পাশের ছিটে কয়েকগুণ টাকা খরচ করে এসব মানুষ চলাচল করছে। অজুহাত হিসেবে জরুরি ব্যবসায়িক কাজ বা ব্যক্তিগত কাজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ ছাড়াও প্রতিদিন শহিদ হাসান চত্বর, একাডেমি মোড় ও হাসপাতাল এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ পণ্য পরিবহন মিনি ট্রাক ও ভারী ট্রাক ও অম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এদিকে, লকডাউন খুলে দেওয়ার পূবেই গতকালই চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকটি দোকানপাট, শপিংমল স্বল্প পরিসরে খুলে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে।
মেহেরপুর:
মেহেরপুরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থনে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহেও যানবাহনের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। দোকানপাট খোলার ঘোষণায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সেভাবে কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।
