
খেলাধুলা ডেস্ক: ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ আরো জমে উঠলো। এবার হ্যাটট্রিকে রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেল্টিককে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লিওনেল মেসির অবদান তিন গোল। আর ব্রাজিলিয়ার স্ট্রাইকার নেইমারের অবদান এক গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের রেকর্ডের দিকে চোখ রাখলে মেসির চেয়ে রোনালদোকে রেকর্ডে অগ্রগামী দেখা যায়। ইউরোপ সেরা এ টর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৪ গোল রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার রোনালদোর। ৮৯ গোল নিয়ে ঠিক তারেই পরে আছেন মেসি। এক আসরে (২০১৩-১৪) সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ডও রোনালদোর দখলে। এছাড়া গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ ১১ (২০১৫-১৬) ও মোট মিলিয়ে নকআউট পর্বে সর্বোচ্চ ৪৪ গোলের রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদের এ উইঙ্গারের। এছাড়া রায়ান গিগসের পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক ২৬ অ্যাসিস্টের রেকর্ড রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ৫ হ্যাটট্রিক নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন মেসি ও রোনালদো। কিন্তু এবার গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই রোনালদোকে হ্যাটট্রিকে টপকে গেলেন মেসি। বার্সেলোনার এ স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিক এখন ৬টি। এছাড়া রোনালদোকে টপকে গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ ৫০ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও এখন মেসির। অন্যদিকে নির্দিষ্ট এক স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড বার্সেলোনার এ স্ট্রাইকারের। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ন্যু ক্যাম্পে তিনি করেছেন সর্বোচ্চ ৪৭ গোল। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সর্বোচ্চ ৪৬ গোলের রেকর্ড ছিল রাউল গঞ্জালেসের। সেল্টিকের বিপক্ষে এদিন একসঙ্গে জ্বলে ওঠেন এমএসএন’খ্যাত মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমার। মেসির হ্যাটট্রিকের সঙ্গে সুয়ারজে করেন জোড়া গোল। আর নেইমার ফ্রি কিকে দুর্দান্ত এক গোলের পাশাপাশি ৪ গোলে রাখেন সরাসরি অবদান। এতে মেসি-সুয়ারেজকে টপকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার নেইমার। বার্সেলোনার এ তিন ফরোয়ার্ডের দাপটে ১৯৬৭ সালের চ্যাম্পিয়ন সেল্টিক চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা পায়।