
সমীকরণ ডেস্ক: নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে পাঁচ মামলায় জামিনের আবেদন জানান রিজভী। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হরতাল-অবরোধের সময় গাড়ি ভাঙচুর, বিস্ফোরক, পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী, মতিঝিল ও রমনা থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সেসব মামলায় রিজভীকে পলাতক দেখানো হয়েছে ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এর আগে ২৯ জুলাই গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী। গুলশানে রিজভীর অবস্থান জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপর কার্যালয় থেকে আর বের হননি তিনি। গত ৩০ জুলাই রাতে গুলশান কার্যালয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন রিজভী আহমেদ। এভাবে অবরুদ্ধ না থেকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। তার নির্দেশনার পর আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন তিনি। আইনজীবীদের পরামর্শেই ৩১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন রিজভী আহমেদ। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে বেরিয়েও যান তিনি। তবে ওইদিন আদালতে না গিয়ে ১৮ দিন পর গতকাল আদালতে যান রিজভী। এদিকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘রিজভীর জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি বলে আমি মনে করি।’ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এই কথা বলেন। বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানবতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিচারবিভাগও আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। রিজভী একজন আইনজীবী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। আদালতে রিজভীর জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি। মামলার এজাহারে রুহুল কবির রিজভীর নাম না থাকলেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পুলিশ তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অসুস্থ রিজভীকে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।