রাস্তার ইট তুলল আ.লীগ নেতা, বিপাকে ৯ পরিবার

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে আওয়ামী লীগ নেতা রাস্তার ইট তোলায় বিপাকে পড়েছে ৯টি পরিবার। উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর ধরে হরিহরনগর উত্তরপাড়ার সাধারণ মানুষ এই ইটের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তবে দুই দিন আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আলী, মিঠুসহ কয়েকজন সেই রাস্তার ইট তুলে অন্য স্থানে রাস্তা তৈরি করেছেন। এ ঘটনায় হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বাদী হয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করলে তিনি রাস্তার ইট তোলা বন্ধ করে দেন।
হারুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৯টি পরিবার এখানে বসবাস করি। এই রাস্তা না থাকলে আমাদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হবে। আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ, মিঠু, জহির মিলে এই রাস্তার ইটগুলো তুলেছে। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের হুমকি দিতে থাকে। এটি অনেক পুরাতন রাস্তা। তারা বলছে এই রাস্তা দেব না। তারা এখন আমাদের রাস্তার জন্য জমি কিনতে বলছে। আমরা গরিব মানুষ। এখন রাস্তার জমি কিনব কীভাবে। এই রাস্তা না থাকলে আমরা কেউ চলাচল করতে পারব না।’ হারুন আরও বলেন, ‘রাস্তার বিষয়টি আমরা সবাই মেম্বারকে বলেছি। মেম্বার উল্টো বলছেন, রাস্তার জমি ছেড়ে দাও। তা না হলে তোমাদের ওপর ওরা হামলা চালাবে। আমি কিছু বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফের সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মিঠু বলেন, ‘যে রাস্তা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, এই জমির মালিক আশরাফ। যেখান দিয়ে এখন রাস্তা হচ্ছে, সেই জমির মালিকও আশরাফ। সে জন্য আগের রাস্তার ইট তুলে নতুন রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। তবে ইট তোলার বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কিছু বলিনি। বিষয়টি মীমাংশা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি সরেজমিনে দেখব, তারপর ব্যবস্থা নেব।’ জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, হরিহরনগর গ্রামের রাস্তার ইট তোলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে লোক পাঠিয়ে রাস্তার ইট তোলা বন্ধ করা হয়েছে।