ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

যৌতুক মামলায় ঝিনাইদহের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ কারাগারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলের বটতলা আকুর টাকুর পাড়ার ডা. আনন্দ মোহন দাসের মেয়ে ডা: প্রিয়াংকা দাসের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ শহরের বাঘাযতিন সড়কের মৃত নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ’র। বাদীর অভিযোগ, বিয়ের সময় পার্থ ও তার পরিবার ২০ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দাবি করে। সেসময় মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে প্রিয়াংকার পিতা ৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এরপর থেকে স্বামী ও তার পরিবার ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে বাদী অভিযোগ করেন। টাকা না দেওয়ায় প্রিয়াংকাকে তার ছেলেসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রের বরাবর অভিযোগ দিলে প্রসেনজিৎ ও তার পরিবার ডা: প্রিয়াংকা দাসকে বাড়িতে ফেরত নিবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু তাদের বাড়িয়ে ফিরিয়ে না নেওয়ায় ডা: প্রিয়াংকা দাস টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

যৌতুক মামলায় ঝিনাইদহের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ কারাগারে

আপলোড টাইম : ১০:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলের বটতলা আকুর টাকুর পাড়ার ডা. আনন্দ মোহন দাসের মেয়ে ডা: প্রিয়াংকা দাসের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ শহরের বাঘাযতিন সড়কের মৃত নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ’র। বাদীর অভিযোগ, বিয়ের সময় পার্থ ও তার পরিবার ২০ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দাবি করে। সেসময় মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে প্রিয়াংকার পিতা ৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এরপর থেকে স্বামী ও তার পরিবার ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে বাদী অভিযোগ করেন। টাকা না দেওয়ায় প্রিয়াংকাকে তার ছেলেসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রের বরাবর অভিযোগ দিলে প্রসেনজিৎ ও তার পরিবার ডা: প্রিয়াংকা দাসকে বাড়িতে ফেরত নিবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু তাদের বাড়িয়ে ফিরিয়ে না নেওয়ায় ডা: প্রিয়াংকা দাস টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন।