
বিশ্ব ডেস্ক: ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করে দিলেও ফিলিপাইনের অসুবিধা হবে না। দুতের্তে সরকার রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে অগ্রহ দেখিয়েছে আর সেনাবাহিনীর মধ্যে এব্যাপারে কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেনজানা দুতের্তে প্রশাসনের অন্য শীর্ষ নেতাদের মত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কঠোর অবস্থান প্রকাশ করলেন। এর আগে গত বুধবার তিনি ভিন্ন সুরে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া দিয়ে লাভ নেই একথা ঠিক নয়। এব্যাপারে প্রেসিডেন্ট দুতের্তেকে ভুল বোঝানো হয়ে থাকতে পারে। তবে শুক্রবার লরেনজানা বলেন, ফিলিপাইনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সাহায্য খুব বেশি মূল্যবান নয়। কংগ্রেস সামরিক বাজেট ৫ থেকে ১০ কোটি ডলার বাড়িয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সাহায্য না হলেও চলবে। মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মে মাসে ক্ষমতায় আসেন দুতের্তে। মাদক বিরোধী অভিযানে ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই রক্তক্ষয়ী অভিযানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার দুতের্তে বলেছেন, মাদক বিরোধী অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইলে সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারে। ফিলিপাইন ভিক্ষা করতে যাবে না। লরেনজানা বলেন, দুতের্তে বহুমুখী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়তে চাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল, প্রতিরক্ষা চুক্তি পুনঃবিবেচনার কথা বলে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছেন দুতের্তে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী লরেনজানা আরও বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সাথে বিরোধ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। সূত্র: রয়টার্স