যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলির লড়াই হরিণাকুণ্ডু মোকিমপুরের সন্ত্রাসী টোটন নিহত

rtr4e

ঝিনাইদহ অফিস:ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার মোকিমপুর গ্রামের আজাদুর রহমান টোটন যশোরে পুলিশের সাথে কথিত গোলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়ায় ছিনতাইকালে তিন ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়ে আটক হন টোটনসহ ৩ জন। তাদের মধ্যে টোটন বুধবার দিনগত রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পুলিশের দাবী আজাদুর রহমান টোকনকে পুলিশ হেফাজতে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হচ্ছিল। পথে সহযোগীরা বোমা ফাটিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছিল। আজাদুর ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামের আব্বাস মণ্ডলের ছেলে। অস্ত্র মামলায় তিনি দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি ছিল। যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বুধবার দিনগত রাতে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলির লড়াই চলছে বলে খবর পায় পুলিশ। রাত ২টার দিকে পুলিশ মথুরাপুর ফিলিং স্টেশনের অদূরে অবস্থান নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে সন্ত্রাসীরা হটে গেলে সেখান থেকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।’ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক এম আবদুর রশিদ রাত আড়াইটায় জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মাথায় এক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যুহয়। টোকনের নামে ঝিনাইদহ ও যশোর থানায় ১০ টি বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে এবং একটি মামলায় দশ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী ছিল টোকন। সে কালীগঞ্জ কাষ্টভাংগা ও যশোর এলাকায় থাকতো। কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ূবের কাছে থাকতো টোটন। মুলত ওই চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে টোটন বিভিন্ন অপরাধ মুলক ঘটনা ঘটাতো বলে পুলিশ জানায়। তার ভয়ে কালীগঞ্জের কাষ্টভাংগা এলাকায় কেউ ভয়ে কথা বলতে পারতো না। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূবকেও যশোর ডিবি পুলিশ আটক করে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে দুই জন জনপ্রতিনিধির চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ডিবি পুলিশ।