মোটরসাইকেল চুরির সময় চোর আটক : গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ
- আপলোড টাইম : ০৪:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
- / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে মোটরসাইকেল চুরি : সবত্র চোর আতঙ্ক!
সোহেল রানা ডালিম: চুয়াডাঙ্গা শহরে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি। উদ্ধার হচ্ছেনা চুরি হওয়া মোটরসাইকেল। গতকাল শুক্রবারও চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সিনেমা হলপাড়ায় ঘরের বারান্দা থেকে মোটরসাইকেল চুরির সময় হকপাড়ার একাধিক চুরি মামলার আসামী চোর হৃদয় (২২) নামে একজনকে আটক করে গণধোলায় শেষে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে মোটরসাইকেল মালিক শাহিনুর রহমান শাহিন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আজ চোর হৃদয়কে চুরি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।
সিনেমা হলপাড়া এলাকার চাঁদমারি মাঠের পূর্বপাশে প্রগতি প্রিন্টিং প্রেসের মালিক হাজী নজরুল ইসলামের ছেলে মোটরসাইকেল মালিক শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, শুক্রবার রাত ৮টার পর মোটরসাইকেলটি ঘরের বারান্দায় রেখে তিনি ঘরের ভিতর অবস্থান করছিলেন। এর কিছু সময় পর একটা শব্দে ঘরের বাইরে এসে দেখি চোর হৃদয় মোটরসাইকেলটির লক তালা খুলে ফেলেছে। এসময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন একত্রে তাকে আটক করে গণধোলায় দিতে থাকে। পরে সদর থানায় খবর দিলে সদর থানা পুলিশের এসআই রবিউল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আমি বাদি হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এসময় অনেকে অভিযোগ করেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মোটরসাইকেল চোর। উদ্ধার হচ্ছে না চুরি হওয়া এ সকল মোটরসাইকেল। গত কয়েকদিনে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশ এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের তালিকার মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী, ডাক্তার, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণও আছে। গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর ব্রাক অফিস থেকে চুরি হওয়া পালসার মোটরসাইকেল মালিক ভুষিমাল ব্যবসায়ী রফিকুর রহমান বাচ্চু সময়ের সমীকরণকে জানান, ব্যবসায়ীক কাজের উদ্দেশে ব্রাক অফিসের নিচে মোটরসাইকেলটি রেখে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে নিচে এসে দেখি মোটরসাইকেলটি নেই। ব্রাক অফিসের সামনে বিগ বাজারের সিসিটিভি ক্যামেরাতে চোরের অপরিস্কার ছবি সংগ্রহ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দেওয়াসহ সদর থানায় দায়ের করার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাওকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে চুরি হওয়া এসকল মোটরসাইকেল উদ্ধারে সফলতা না থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এসকল ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও তারা বলছেন, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে অতি দ্রুত উদ্ধার হবে তাদের চুরি হওয়া এ সকল মোটরসাইকেল।